নয়াদিল্লি: এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী বেঙ্কাইয়া নাইডুর বিরুদ্ধে গরিব, নিঃস্ব ও জমিহীন ব্যক্তিদের জন্য নির্দিষ্ট জমি দখল করার অভিযোগ করল কংগ্রেস। বেঙ্কাইয়া অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থে এই মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। অতীতে এ বিষয়ে জবাব দেওয়া হয়েছে।


এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেন, অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোরে গরিবদের জন্য নির্দিষ্ট ওই জমি দখল করেন বেঙ্কাইয়া। পরে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ এবং রাজনৈতিক চাপে সেই জমি ফেরত দিতে বাধ্য হন তিনি। ২০১১ সালের ৬ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট কুশাভাউ ঠাকরে মেমোরিয়াল ট্রাস্টকে ২০ একর জমি দেওয়ার নির্দেশ বাতিল করে দেয়। ওই ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ছিলেন বেঙ্কাইয়া। এ বছরের ২০ জুন তেলঙ্গানা সরকার এক গোপন নির্দেশে বলেছে, বেঙ্কাইয়ার মেয়ের সংস্থা স্বর্ণ ভারত ট্রাস্টকে জমির উন্নয়নের জন্য হায়দরাবাদ মেট্রোপলিটন ডেভেলপমন্ট অথরিটিকে দু কোটি টাকারও বেশি অর্থ দেওয়া থেকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে বিনা টেন্ডারে দুটি সংস্থার কাছ থেকে ২৭১ কোটি টাকার বিনিময়ে পুলিশের গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেয় তেলঙ্গানা সরকার। একটি সংস্থা ছিল বেঙ্কাইয়ার ছেলের এহবং অপরটি মুখ্যমন্ত্রীর ছেলের। নাইডু স্বচ্ছতার কথা বলেন। তাই কংগ্রেসের এই অভিযোগের জবাব দেওয়া উচিত তাঁর।

বেঙ্কাইয়া প্রতিটি অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘২০০২ সালে এক কংগ্রেস নেতা এই জমি দখলের অভিযোগ করেন। তিনি আদালতেও যান। কিন্তু মামলা খারিজ হয়ে যায়। স্বর্ণ ভারত ট্রাস্টকে সুবিধা দেওয়া নিয়ে সংবাদমাধ্যমে হইচই শুরু হওয়ার পর ২৩ জুলাই তেলঙ্গানা সরকার বলেছে, এর আগেও অন্য সংস্থাগুলিকে একই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কয়েকদিন আগে রাজনৈতিক এবং উদ্দেশ্যেই ফের এই অভিযোগ করা হচ্ছে। কংগ্রেসের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা এবং আশাহীনতা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।’ এর আগে সাংবাদিকদের বেঙ্কাইয়া বলেন, কংগ্রেস এতটা নীচে নামায় তিনি দুঃখিত।

বেঙ্কাইয়ার পাশে দাঁড়িয়ে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমার বলেছেন, রমেশ যে অভিযোগ করেছেন সেটা ভিত্তিহীন। তিনি এই অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি। এই অভিযোগের কোনও প্রমাণ নেই।