নয়াদিল্লি: ইউপিএ সরকার জম্মু ও কাশ্মীরে যে সাফল্য  অর্জন করেছিল, তা সবই জলাঞ্জলি দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এভাবেই আজ এনডিএ সরকারকে বিঁধলেন কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধী।
জামিয়াত উলেমা-ই-হিন্দের প্রধান মৌলানা আসাদ মাদনি আয়োজিত ঈদ মিলন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন রাহুল। সেখানেই কাশ্মীরের বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতির জন্য মোদী সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি। রাহুল বলেন, উপত্যকার পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে ভুল পদক্ষেপই কাশ্মীরে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, মনমোহন সিংহ যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, সেইসময় জম্মু-কাশ্মীরের শান্তি বজায় রাখতে সফল হয়েছিল কেন্দ্র। মনমোহন জম্মু ও কাশ্মীরের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছিলেন। আর এভাবে বেশ কয়েক বছর পর জঙ্গিকার্যকলাপ বিধ্বস্ত রাজ্যটিতে শান্তি স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু মোদী সরকার গোটা বিষয়কে একেবারেই গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেনি।
কয়েকমাস আগে জিএসটি বিল নিয়ে আলোচনার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন রাহুল।। কিন্তু জেটলি তাঁর উদ্বেগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন বলে দাবি রাহুলের। জেটলি গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন বলেও মন্তব্য করেছেন রাহুল। জেটলির ওই বক্তব্যের পর তিনি আর কথা বাড়াননি বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস সহ সভাপতি।
রাহুল বলেন, ২০১৪-র মে মাসে যখন মোদী সরকার ক্ষমতায় আসে তখন কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে রাহুল বলেন, বিজেপি সবসময় বলে কংগ্রেস দেশের জন্য কিছুই করেনি। তিনি বিজেপি নেতাদের কাছে জানতে চান, কারা ওই অস্থির রাজ্যে শান্তি এনেছিল? একইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, ইউপিএ সরকারের নীতির ফলে মানুষের ভরসা অর্জন করা গিয়েছিল এবং জঙ্গিরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।
ওই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেডি-ইউ নেতা শরদ যাদব, সিপিএম নেতৃত্ব সীতারাম ইয়েচুরি এবং মহম্মদ সেলিম, কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ, সলমন খুরশিদ এবং শ্রী প্রকাশ জয়সবাল।
প্রসঙ্গত, হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কাশ্মীরের পরিস্থিতি। মৃতের সংখ্যা ৩০ ছুঁয়েছে।