নয়াদিল্লি: 'একদিকে হাথরাসকাণ্ডের প্রতিবাদে লড়াই, কিন্তু অন্যদিকে ধর্ষককে নির্বাচনের টিকিট!' বিস্ফোরক মন্তব্য কংগ্রেস কর্মীর। প্রতিবাদের জেরে দলীয় কর্মীদের হাতেই আক্রান্ত তারা যাদব।


উত্তরপ্রদেশের হাথরসে এক তরুণীর উপর যৌন নির্যাতন চালানোর পর নৃশংসভাবে মারধর করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে হাথরসে যান রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। আর সেই উত্তরপ্রদেশেই এবার ধর্ষণে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে উপনির্বাচনে প্রার্থী করার প্রতিবাদ জানিয়ে দলীয় কর্মীদের হাতেই আক্রান্ত হলেন এক মহিলা কংগ্রেস কর্মী।

সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার কংগ্রেস পদপ্রার্থী মুকুন্দ ভাস্কর মানি ত্রিপাঠিকে নির্বাচনের টিকিট দেওয়ার বিরোধিতা করেন তারা। এবিপি আনন্দকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তারা বলেন, 'একদিকে হাথরাসকাণ্ডের প্রতিবাদ ও নির্যাতিতার পরিবারকে সঠিক বিচার দেওয়ার জন্য লড়াই করছে দল। আর অন্যদিকে একজন ধর্ষককে নির্বাচনে লড়াই করার জন্য টিকিট দিচ্ছে সেই কংগ্রেস দলই। এটা আমাদের পার্টির সমগ্র ভাবমূর্তিকে নষ্ট করছে।  একটি সভায় আমি এই কথা উচ্চারণ করার সঙ্গে সঙ্গে আমি পিছন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় ও হেনস্থা করা হয়। আমায় এরপর আর একটা কথাও বলতে দেওয়া হয়নি।'

প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢ়রার কাছে এই ঘটনার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তারা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়্যারপার্সন রেখা শর্মা ট্যুইটারে লেখেন, 'এত নিচু মানসিকতার লোকেরা কি করে রাজনীতিতে যোগ দিতে পারে!'

সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভাইরাল হয়েছে ওই মূহুর্তের ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন কংগ্রেসের দলীয় কর্মী একজন মহিলাকে আঘাত করছে। জানা যায় ওই ভিডিওটি উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার কংগ্রেসের সভার একটি ভিডিও।

ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২জন কর্মীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলা কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত করা হবে। ঘটনায় ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে তদন্ত কমিটি।