নয়াদিল্লি: কংগ্রেস গোলমাল ও অস্থিরতার রাজনীতিকেই প্রাধান্য দেয়, মানুষের কল্যাণকে নয়। আজ এমনই দাবি করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। সংসদের বাজেট অধিবেশন ভেস্তে দেওয়ার জন্য কংগ্রেসকে দায়ী করে আজ অনশনে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর, মুখতার আব্বাস নকভি, পীযূষ গয়াল সহ বিজেপি নেতা-মন্ত্রীরা। এদিনই কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি সভাপতি। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী গরিবদের জন্য এবং উন্নয়নমূলক যে নীতি নিয়েছেন, তাতে বাধা দিতে চাইছে বিরোধীরা।

বিজেপি সভাপতি এখন কর্ণাটকে আছেন। সেখানেই তিনি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দলীয় প্রতিবাদসভায় যোগ দেন। একটি ব্লগে তিনি লিখেছেন, ‘মানুষের জানা উচিত, প্রতিনিধি হিসেবে যাঁদের সংসদে পাঠানো হচ্ছে, তাঁরা মানুষের স্বার্থে কাজ করার বদলে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে বাধা দিচ্ছেন। কংগ্রেস ভালভাবেই জানত, ওরা সংসদের কোনও কক্ষেই বিতর্কে যোগ দিতে পারবে না। সেই কারণেই ওরা সংসদের কাজ চলতে দেয়নি। বিজেপি কোনও উপায় না দেখে মানুষের কাছে গিয়েছে। কারণ, এটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় মঞ্চ।’

কংগ্রেস দাবি করেছে, বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে সংসদের অধিবেশন ভণ্ডুল করে দিয়েছে। এর পাল্টা অমিত বলেছেন, কংগ্রেসের দ্বিচারিতা ফাঁস করে দেওয়ার জন্যই তাঁরা প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। এই আচরণের জন্য মানুষ কংগ্রেসকে ক্ষমা করবে না। উন্নয়নের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যেই বাজেট অধিবেশন এগিয়ে এনেছিল সরকার। কিন্তু বিরোধী দলগুলি বিশেষ করে কংগ্রেস সেটা চাইছিল না। সেই কারণেই তারা বাধা দেয়। বিরোধীদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের ফলে জনগণের ৩৩৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বিবেকের ডাকেই এনডিএ সাংসদরা বেতন নেননি।

এদিন বিজেপি-র অধিকাংশ লোকসভার সাংসদ নিজেদের নির্বাচনী কেন্দ্রে অনশনে যোগ দেন। রাজ্যসভার বেশিরভাগ সাংসদ নিজেদের রাজ্যে অনশনে যোগ দেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী কেন্দ্র বারাণসীতে যান। আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী রামকৃপাল যাদব বিহারের পটনা ও দিঘায় অনশনে যোগ দেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন চেন্নাইয়ে, জাভড়েকর বেঙ্গালুরুতে, বিজয় গোয়েল তামিলনাড়ুতে অনশনে যোগ দেন।