নয়াদিল্লি: মাত্র ১ টাকা লগ্নি করে সোনা কেনার সুযোগ! অক্ষয় তৃতীয়ায় ঠিক আগে মোবাইল ওয়ালেট কোম্পানি পেটিএম এমএমটিসি-পিএএমপি-র সঙ্গে অংশীদারিত্বর মাধ্যমে ২৪ ক্যারাট সোনা কেনা-বেচার নয়া সুবিধা চালু করার ঘোষণা করেছে।
এই প্রকল্পের নাম ডিজিটাল গোল্ড। এই ওয়েল্থ ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত নয়া প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রাহকরা বছরের যে কোনও দিন ও যে কোনও সময়ে পেটিএমের মোবাইল অ্যাপে গিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সোনা কিনতে পারেন। আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম অনুযায়ী এই প্রকল্পে সোনা বেচাকেনা হবে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ক্রেতারা চাইলে প্রতিদিনই কিছু না কিছু পরিমাণ সোনা কিনতে পারেন। অনলাইনে কেনা এই সোনা ক্রেতারা এমএমটিসি-পিএএমপি-র সুরক্ষিত ভল্টে নিখরচায় জমা রাখা  যাবে। সোনা কিনতে ক্রেতারা সবচেয়ে কম ১ টাকাও লগ্নি করতে পারেন। কেনা সোনার পরিমাণ এক গ্রাম বা তার বেশি হয়ে গেলে ক্রেতা চাইলে তা কয়েন আকারে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। এজন্য কোনও ডেলিভারি চার্জও লাগবে না।
ক্রেতা চাইলে ওই সোনা অনলাইনেই এমএমটিসি-পিএএমপি-র কাছেও বিক্রি করতে পারবেন। যেদিন ক্রেতা সোনার ডেলিভারি নেবেন, তা ওই দিনের দামে বিক্রি করা হবে। এ জন্য গ্রাহককে বিলও দেওয়া হবে, যাতে সোনার মূল দাম, কর, মেকিং চার্জের মতো বিষয়ের উল্লেখ থাকবে।
তবে যেদিন সোনা কেনা হবে, ক্রেতা সেইদিনই তা ফেরত চাইতে পারবেন না।
সোনা কেনার জন্য দাম মেটানোর জন্য বেশ কয়েকটি বিকল্প থাকছে। পেটিএমের মোবাইল ওয়ালেট তো রয়েইছে। সঙ্গে ক্রেতা ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড বা নেট ব্যাঙ্কিংও ব্যবহার করতে পারেন। মোবাইল ওয়ালেটে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকার সীমা থাকে। এজন্য অন্য বিকল্পগুলি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ২০ টাকার বেশি লেনদেনে গ্রাহকদের কেওয়াইসি দিতে হয়। সোনা কেনাবেচার প্রকল্পের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য।
পেটিএমের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই প্রকল্পে সোনা কিনে জমা রাখা যাবে। কিন্তু কোনও ধরনের সুদ মিলবে না।
পেটিএম প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও বিজয় শেখর শর্মা বলেছেন, ভারতীয় কাছে লগ্নির অন্যতম মাধ্যম হল সোনা। ক্রেতারা যাতে সহজ উপায়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সোনার ওপর লগ্নি করতে পারেন, সেজন্যই এই প্রকল্প।