নয়াদিল্লি: ২২ তারিখ ফাঁসি। ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর, দিল্লিতে ২৩ বছরের তরুণীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া বর্বরোচিত ও পৈশাচিক ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত চার অপরাধীর ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেছে পাতিয়ালা হাউস আদালত। চার আসামী মুকেশ সিংহ, বিনয় শর্মা, অক্ষয় সিংহ ও পবন গুপ্ত, প্রত্যেককেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। যদিও এরা প্রত্যেকেই এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করতে পারবে। আর তার জন্য সময় ১৪ দিন।


৭ বছরের দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী অপরাধীদের মৃত্যুর রায় শুনে কোর্ট রুমেই কেঁদে ফেলেন নির্ভয়ার মা আশা দেবী। অন্যদিকে ছেলের মৃত্যুদণ্ডের সাজা হয়েছে শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুকেশের মা। এর পরই পাতিয়ালা কোর্ট হাউস রুম সাক্ষ্মী থাকে এক নাটকীয় মুহূর্তের।


নির্ভয়ার মায়ের কাছে প্রাণভিক্ষা করেন অপরাধী মুকেশের মা। নির্ভয়ার মায়ের সামনে আঁচল পেতে দেন দোষীর মা। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, “আমার ছেলের প্রাণভিক্ষা চাইছি। আমার এই ঝোলায় ছেলের জীবন দিয়ে দিন।” এই আর্তনাদে কান্না থামাতে পারেননি নির্ভয়ার মা-ও। তবে চোয়াল শক্ত করে তিনি দোষী মুকেশের মা-কে বলেন, “আমারও মেয়ে ছিল। ওর সঙ্গে যা হয়েছে আমি তা কীভাবে ভুলে যাব। সাত বছর ধরে এই দিনের অপেক্ষা করেছি আমি। ওরা আমার মেয়ের সঙ্গে যা করেছিল,  কী করে ভুলে যাব আমি।”


প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালেই এই চার দোষীর ফাঁসি সাজা ঘোষণা করেছিল আদালত। পরে ২০১৪ সালে দিল্লি হাইকোর্টও সেই রায় বহাল রাখে। ২০১৭ সালে মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টও। এমনকি প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতিও। দিল্লিতে তরুণীর গণধর্ষণের ঘটনায় ৪ জনের সাজা হলেও নাবালক হওয়ার কারণে রেহাই পায় এক দোষী। আসামী মুকেশ সিংহ, বিনয় শর্মা, অক্ষয় সিংহ ও পবন গুপ্ত, এই চার দোষীই এখন তিহারে বন্দি। সেখানেই তাদের ফাঁসির সাজা কার্যকর হবে।