নয়াদিল্লি:জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় গতকাল সিআরপিএফ শিবিরে ভোররাতে অতর্কিতে হামলার পর জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। সেই অভিযান আজ শেষ হয়েছে।উদ্ধার করা হয়েছে নিহত তৃতীয় জঙ্গির দেহ। এই জঙ্গির দেহ উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গেই অভিযান শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ডিজি এস পি বেদ। গতকালই দুই জঙ্গির দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। তারা হল পুলওয়ামার গ্রুবগামের মনজুর আহমেদ বাবা এবং ত্রালের নাজিমপোরার ফারদিন আহমেদ খাণ্ডে। সে আবার রাজ্য পুলিশের এক কর্মীর ছেলে। সিআরপিএফের গুলিতে ১৬ বছরের খাণ্ডের গতকালই মৃত্যু হয়েছিল। কয়েক মাস আগে সে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদে যোগ দিয়েছিল। তখন সে দশম শ্রেণিতে পড়ত।


হামলার আগে খাণ্ডে এক ভিডিও বার্তায় আধা সামরিক বাহিনীর শিবিরে হামলার ছকের কথা জানায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় যা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ৮ মিনিটের সেই ভিডিও-র শুরুতেই তাকে বলতে শোনা যায়, ‘যখন এই বার্তা তোমাদের কাছে পৌঁছবে আমি হয়তো বেঁচে থাকব না।’ এই ভিডিও বার্তার মাধ্যমে কাশ্মীরি তরুণদের জইশে যোগদানের ডাক দিতেও শোনা যায় তাকে।

নিরাপত্তা বাহিনীর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই প্রথম কোনও ফিদায়েঁ তথা আত্মঘাতী হামলাকারীকে এ ধরনের প্ররোচনামূলক বার্তা রেকর্ড করতে দেখা গেল।

নিরাপত্তা বাহিনী ওই ভিডিও ফুটেজটি খতিয়ে দেখছে। পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। যখন একটা সময় তরুণদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে এবং অনেকেই জঙ্গি কার্যকলাপ ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে ফিরেছে, তখন এই ঘটনা একেবারেই ভালো লক্ষ্মণ নয়।

জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি জানিয়েছেন, জইশ-ই-মহম্মদ পুলওয়ামা হামলার দায় স্বীকার করেছে। তিনদিন আগেই সেনা ও আধাসামরিকবাহিনীর উপর হামলা হতে পারে বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। মনে করা হচ্ছে, আবহাওয়ার কারণেই কয়েকদিন পরে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। গত মাসে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ভাইপো সহ বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে খতম করার বদলা নিতেই পুলওয়ামায় হামলা চালানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। কাশ্মীরের জঙ্গিরাই এই হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল।

শনিবার রাত দুটো নাগাদ পুলওয়ামায় সিআরপিএফ শিবিরে হামলা চালায় কয়েকজন জঙ্গি। তারা গ্রেনেড হামলার পাশাপাশি গুলিও চালাতে থাকে। নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা জবাব দেন।