পুণে: পুলিশি ঘেরাটোপে বিয়ে সারল পুণের যুগল। কন্যাদান করলেন পুলিশ অফিসার। করোনা আবহে ফের সামনে এল পুলিশের মানবিকতার এই ছবি।


মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ আদিত্য বিস্ত ও চিকিৎসক নেহা কুশওয়াহার বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল ২ মে। দুজনের বাড়ি নাগপুর ও দেহরাদুনে হলেও কাজের সূত্রে পুণেতে থাকেন দুজনেই। দেহরাদুনে গিয়ে বিয়ে করার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু করোনা লকডাউনের জেরে দুজনেই আটকে পড়েন পুণেতে। চিন্তায় পড়ে যান তাঁদের বাড়ির সকলে। দেহরাদুন ফেরার বিশেষ অনুমতি চেয়েও তা পায়নি ওই যুগল।

অবশেষে পুণের পুলিশের কাছে আবেদন করেন আদিত্যর বাবা। পুলিশের তরফে জানানো হয়, দেহরাদুন ফেরার অনুমতি দেওয়া এই মূহুর্তে সম্ভব নয়। উপায়ান্তর না দেখে, পুণেতেই বিয়ের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয় ওই যুগল। নাগপুর ও দেহরাদুন থেকে ভিডিও কলেই বিয়েতে অংশ নেন বর-কনের মা বাবা। আর পুণেতে মা-বাবার অভাব পূরণ করলেন খোদ পুলিশই।

বিয়ের মণ্ডপে উপস্থিত ছিলেন কয়েকজন পুলিশকর্মী। এক পুলিশ অফিসার ও তাঁর স্ত্রী নবদম্পতির বাবা-মার ভূমিকা পালন করেন। পুলিশ অফিসার মনোজ পাতিল ও তাঁর স্ত্রী কন্যাদান থেকে শুরু করে অন্যান্য সমস্ত রীতিই পালন করেন। অ্যাসিন্ট্যান্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর প্রশান্ত লোনারে বলেন, 'আদিত্যর বাবা আমায় ফোন করে অনুরোধ করেছিলেন দেহরাদুন যাওয়ার বিশেষ অনুমতি দেওয়ার জন্য। তা সম্ভব না হওয়ায় আমি পুণেতেই বিয়ের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেছি।'

আদিত্যর বাবা প্রাক্তন সেনা অফিসার অন্যদিকে নেহার বাবা চিকিৎসক। বর্তমানে নাগপুর এইমস-এ করোনা রোগীদের চিকিৎসা করছেন তিনি। দুই পরিবারের তরফ থেকেই ধন্যবাদ জানানো হয়েছে পুণে পুলিশ টিমকে।