গোটা বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয় সোস্যাল মিডিয়ায়। দেশে ধর্মীয় উগ্রপন্থা, অসহনশীলতা ফের বাড়তে চলেছে কিনা, সেই বিতর্কে নতুন করে ইন্ধন জুগিয়েছে শুক্লর ট্যুইটটি।
বহু ব্যক্তি, সংস্থা জোমাটোর অমিতকে দেওয়া জবাবের প্রশংসা করে তাকে স্বাগত জানায়। খাবার ডেলিভারি দেওয়া সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা দীপিন্দর গয়াল ট্যুইট করেন, আমরা ভারতের ধারণা, বোধ, আমাদের মূল্যবান খদ্দের ও শরিকদের বৈচিত্র্যের জন্য গর্বিত। আমাদের মূল্যবোধের সামনে বাধা হতে পারে, এমন যে কোনও ব্যবসা চলে গেলেও দুঃখ পাব না।
আজ পুলিশ সুপার অমিত সিংহ পিটিআইকে বলেন, আমরা শুক্লর বিরুদ্ধে নিজেদের উদ্যোগে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে লিখিত ভাবে শপথ করতে বলা হয়েছে যে, তিনি সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট হতে পারে, এমন কিছু করবেন না। তাঁকে নজরদারির আওতায় রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ সুপার জানান, শুক্ল সাংবিধানিক ধারা ভেঙেছেন যাতে কোনও ধরনের অস্পৃশ্যতা ও ধর্মীয় সম্প্রীতি ক্ষুন্ন করতে পারে, এমন কাজের কোনও জায়গাই নেই। শুক্লকে নোটিস পাঠানো হয়েছে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১০৭ অনুচ্ছেদের (শান্তি বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তা) আওতায়। এই অনুচ্ছেদের আওতায় কোনও পুলিশ অফিসার বা ম্যাজিস্ট্রেট কাউকে বন্ড বা হলফনামা দিয়ে জানাতে বলতে পারেন যে, তিনি এমন কিছু করবেন না যাতে ‘জনজীবনে অশান্তি ভঙ্গ হতে পারে’।
বিষয়টি গরহা থানায় রেফার করা হয়। শুক্লার ঠিকানা ওই থানার আওতাভুক্ত বলে জানান পুলিশ সুপার।
তবে ট্যুইটার পোস্টটি নিয়ে সমালোচনার পরও অমিত সাফাই দিয়েছেন, এটা নিজস্ব ধর্মের প্রশ্ন। ওদের তা সম্মান করা উচিত। শ্রাবণ মাস চলছে, যা আমাদের কাছে পবিত্র। আমি উপবাস করছি। সেজন্যই একটি নিরামিষ খাবারের রেস্তোরাঁ থেকে খাবার অর্ডার করেছিলাম। জোমাটোকে কেবলমাত্র ডেলিভারি বয় বদলানোর অনুরোধ করি। কিন্তু ওরা তা করেনি। মনে হয় না, আমি কোনও অপরাধ করেছি।