অশোক কুমারের স্ত্রী বলেছেন, তাঁরা প্রথম থেকেই নিশ্চিত ছিলেন, তিনি এ কাজ করেননি। গুরুগ্রাম পুলিশ ঠিকমতো তদন্ত না করেই তাঁকে ফাঁসিয়ে দেয়। তিনি যে জামিন পেয়েছেন, তা একধরনের ন্যায় বিচার বলে দেখছেন তাঁরা।
এতদিন জেলে কাটানো ওই বাস কন্ডাক্টরের স্ত্রীর আরও অভিযোগ, পুলিশ তাঁর স্বামীকে মাথা নীচে পা ওপরে করে ঝুলিয়ে রাখে, স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য নেশার ওষুধও দেয়। অশোক নিজে তাঁর জামিনের জন্য সংবাদমাধ্যমকে ধন্যবাদ দিয়েছেন, বলেছেন, তাঁর সারা শরীরে এখনও প্রচণ্ড যন্ত্রণা।
৮ সেপ্টেম্বর রায়ান স্কুলের বাথরুমে উদ্ধার হয় ৮ বছরের প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের গলাকাটা দেহ। পুলিশ তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে পেশায় ওই স্কুলেরই বাস কন্ডাক্টর অশোক কুমারকে। যদিও প্রদ্যুম্নের বাবা মা প্রথম থেকেই বলে এসেছিলেন, অন্য কোনও অপরাধীকে আড়াল করতে অশোককে বলির পাঁঠা করছে পুলিশ। সিবিআই অবশ্য তদন্তে নেমে জানায়, অশোকের বিরুদ্ধে তাদের কোনও প্রমাণ নেই, খুনের অভিযোগে তারা আটক করে ওই স্কুলেরই এক একাদশ শ্রেণির ছাত্রকে।
অশোককে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে মঙ্গলবার তাঁর এক কাকাকে শমন পাঠায় তারা।