নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে করোনা ভ্যাকসিনের ড্রাইরানের বিকেলেই দেশবাসীর জন্য খুশির খবরের ইঙ্গিত। সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিকেল চারটেয় দেশের সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানা গিয়েছে, দেশজুড়ে কীভাবে জনসাধারণের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হবে সে নিয়েই হতে চলেছে আলোচনা।


প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে তথ্যভিজ্ঞ মহলের আশার আলো দেখার কারণ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য। এদিনই দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছিলেন, কয়েকদিনের মধ্যে দেশবাসীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। দেশে করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় দফার ড্রাই রান উপলক্ষ্যে চেন্নাইয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে হর্ষ বর্ধন বলেছেন, 'অল্প সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন তৈরিতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। আশা রাখছি আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দেশবাসীকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজও আমরা শুরু করে দিতে পারব।'

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী কদিন আগে জানিয়েছিলেন, প্রথম দফায় স্বাস্থ্যকর্মী ও করোনা যোদ্ধাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। পাশাপাশি তিনি আশা প্রকাশ করেছিলেন, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে দেশের ২৭ কোটি জনগণকে করোনার ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হবে কেন্দ্রীয় সরকার।

কয়েকদিন আগেই ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (DCGI)-র পক্ষ থেকে গণ টিকাকরণের জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে দেশে তৈরি দুই ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনকে। ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সিরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে কোভিশিল্ড। আর আইসিএমআরকে সঙ্গে নিয়ে কোভ্যাক্সিন তৈরি করেছেন ভারত বায়োটেক।

আর আজ সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যজুড়েও হয় করোনা ভ্যাকসিনের ড্রাই রান। এর আগে গত শনিবার রাজ্যের তিন জায়গায় ড্রাই রান হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে যে কারণে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের চূড়ান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। কীভাবে করা হবে ড্রাই রান, তা বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের।

জেলায় জেলায় যে সব ভ্যাকসিন স্টোর রয়েছে, তার সরঞ্জামও পরীক্ষা করে দেখা হয়। পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের অন্যান্য সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ৭৩৬টা জেলায় হয়েছে করোনা ভ্যাকসিনের ড্রাই রান।