নয়াদিল্লি: করোনা আবহে এবার রেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচগুলিতে নয়া ব্যবস্থা। ওই কোচগুলিতে থাকবে অপারেশন থিয়েটারের মতো হাওয়া চলাচলের ব্যবস্থা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায় হাওয়া বেরোনোর জায়গা থাকে না। একটি জায়গার মধ্যেই বাতাস সঞ্চালিত হতে থাকে। এরফলে সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। এ কথা মাথায় রেখেই বদল আনা হচ্ছে বলে রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।


গত ১২ জুন থেকে রাজধানী এক্সপ্রেসের রুটগুলিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেন চলছে। এরমধ্যে ১৫ জোড়া ট্রেনে এই নয়া ব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে। করোনা-পরবর্তী পর্বে রেলের সমস্ত শীতাতম নিয়ন্ত্রিত ট্রেনগুলিতে এই ব্যবস্থা চালু হবে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচগুলির এই রুফ মাউন্টেড এসি প্যাকেজ ইউনিয় (আরএমপিইউ) ব্যবস্থায় অপারেশন থিয়েটারের মতোই প্রতি ঘন্টায় ১৬-১৮ বার বদল হবে হাওয়া।
আগে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেনগুলিতে প্রতি ঘন্টায় ছয় থেকে আট বার হাওয়ার বদল ঘটত। এক্ষেত্রে ৮০ শতাংশই রি-সার্কুলেটেড বাতাস, ২০ শতাংশ টাটকা বাতাস।
হাওয়া বদলের সংখ্যা বৃদ্ধিতে বিদ্যুত্ খরচ ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেড়ে যাবে।

এক আধিকারিক বলেছেন, যাত্রীদের সুরক্ষার জন্যই এই বাড়তি মূল্য দিতে হবে। এটাই নয়া স্বাভাবিক। এসি যেভাবে কাজ করে তাতে একই হাওয়া সঞ্চালনের ফলে তা দ্রুত ঠাণ্ডা হয়। নতুন বাতাস ব্যবহার করা হলে তা ঠাণ্ডা হতে সময় নেবে। ফলে বাড়তি বিদ্যুত্ খরচ হবে।
রেলওয়ে সেন্ট্রাইজড এসি-র তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি থেকে বাড়িয়ে করেছে ২৫ ডিগ্রি। যাত্রীদের আর কম্বলও দেওয়া হচ্ছে না।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সামান্য উপসর্গ যুক্ত করোনা আক্রান্তদের চিকিত্সার জন্য নন-এসি কোচগুলিকে আইসোলেশন কোচ করা হয়েছে। করোনার সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় সেজন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকা স্পেশ্যাল রাজধানী ট্রেনগুলির এসি ইউনিটগুলিতে রূপায়ন করা হয়েছে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচগুলিতে ঘন্টায় কমপক্ষে ১২ বার সম্পূর্ণ হাওয়ার বদল ঘটানো হলে সেন্ট্রালাইজড এসি গ্রহণযোগ্য।