মুম্বই: করোনা আতঙ্কে ঘরবন্দি রয়েছে গোটা বিশ্বের মানুষ। এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার করা যায়নি করোনার সঠিক ওষুধ। বিশ্ব জুড়ে করোনা রোগীদের বাঁচাতে এখন একমাত্র ভরসা হাসপাতালগুলি। সেখানে উদয়াস্ত রোগীদের সেবা করে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। নিজেদের প্রাণে ঝুঁকি নিয়েও করোনা রোগীদের সেবা করছেন চিকিৎসকরা। একই ছবি ভারতেও। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পরিত্রাতা হয়েছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও।

ভারতের মতো দেশে চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা সামনে এসেছে বহুবার। এমনকি এই করোনা আবহেও নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রমণের মুখে পড়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। ইন্দোর, হায়দরাবাদ, আমদাবাদেও নিগ্রহের মুখে পড়েছেন চিকিৎসকরা। ইন্দোরে চিকিৎসকদের ওপর পাথর ছোঁড়ার ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেছে গোটা দেশ।

এই অতিমারির সময় চিকিৎসকরাই যে একমাত্র ভরসা তা যেন বুঝতে পারেন সাধারণ মানুষ, এমনটাই আর্জি বলি সেলেবদের। সম্প্রতি বেশ কিছু সেলেব এই নিয়ে ট্যুইট করেছেন।

ঋষি কপূর ট্যুইটারে লিখেছেন, 'পুলিশ এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হিংসাত্বক আক্রমণ করবেন না। তাঁরা আমাদের জীবন রক্ষা করার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। আমাদের সবাইকে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে।'



টুইট করেছেন হেমা মালিনীও। লিখেছেন, 'ইন্দোরে যে ঘটনা ঘটেছে তা অন্তত লজ্জাজনক। যে মানুষেরা আমাদের বাঁচানোর জন্য নিজেদের জীবন বিপন্ন করছেন তাঁদের ওপর দুষ্কৃতী হামলা হওয়া অত্যন্ত লজ্জার  ও অকল্পনীয়।'



একটি ভিডিও পোস্ট করে পরেশ রাওয়াল লিখেছেন, 'একবার ভেবে দেখুন, যারা চিকিৎসকদের সঙ্গে এমন হিংসাত্বক ব্যবহার করেছে চিকিৎসকরা যদি তাঁদের সেই ব্যবহার ফিরিয়ে দেন তবে কী হতে পারে?'



জাভেদ আখতার লিখেছেন, 'যারা ইন্দোরে চিকিৎসকদের ওপর পাথর ছুঁড়েছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ যেন যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়। পুলিশ যেন চিকিৎসদের কাজে সাহায্য করে। আমাদের সবাইকে করোনার বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে।'



সরব হয়েছেন প্রীতি জিন্টাও। লিখেছেন, 'ভারতে এইসব কী হচ্ছে। কোথাও লকডাউনের ফলে মানুষ অনাহারে মারা যাচ্ছে।  আবার কোথাও কোয়ারেন্টাইন না মেনেই বাইরে বেরিয়ে পড়ছে মানুষ। ইন্দোরে চিকিৎসকদের ওপর পাথর ছোঁড়া হচ্ছে।'



রবিনা টন্ডন বলেছেন, 'কিছু মানুষের জন্য গোটা দেশকে দোষারোপ করবেন না। অধিকাংশ মানুষই লকডাউন মেনে চলছেন।'



নিজের কুলি ছবির গানের লাইন দিয়ে চিকিৎসকদের কুর্নিশ জানিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন।