ওই জন্মদিনের পার্টির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ আরও ৫০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। তাঁরা ওই পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন।
ক্যান্টনমেন্টের সার্কেল অফিসার সুমিত শুক্লা বলেছেন, জন্মদিনের ওই পার্টির ভিডিও খতিয়ে দেখে জানা যায়, এই ঘটনা প্রকৃতই ঘটেছে। এরপরই যিনি লকডাউন অমান্য করে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে লোকজনদের ডেকেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পেশায় ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তির নাম বরুণ আগরওয়াল। তাঁর বিরুদ্ধে মহামারি অসুখ আইন, বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারাগুলির আওতায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গোরখপুরের ওই অভিজাত এলাকায় জন্মদিনের পার্টি যেখানে আয়োজন করা হয়েছিল, সেখান থেকে কিছু চেয়ার বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
এফআইআর দায়েরের পর পুরো ঘটনা নিয়ে অনুতপ্ত আগরওয়াল। তাঁর সাফাই, ভুল যে হয়েছিল, তা বুঝতে পারছেন। লকডাউনের নিয়ম লঙ্ঘণের কোনও অভিপ্রায় তাঁদের ছিল না। হঠাত্ করেই পার্টির পরিকল্পনা করা হয়। কারণ, আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দারাও একসঙ্গে মজা করতে চাইছিলেন। লকডাউনে বাড়িতে থাকতে থাকতে একঘেঁয়ে বোধ করায় এভাবে পার্টি করতে সবাই উত্সাহিত হয়েছিল। একইসঙ্গে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে, আমন্ত্রিতরা সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলেননি।
তাঁর দাবি, যাঁরা পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের কারুরই করোনার কোনও লক্ষ্মণ ছিল না। কোনও বহিরাগত পার্টিতে যোগ দেননি।
তবে অন্যান্যদের অভিযোগ, কয়েকজন বাসিন্দার আপত্তি অগ্রাহ্য করেই আগরওয়াল ওই পার্টির আয়োজন করেন। তাঁরাই তাঁদের ব্যালকনি থেকে ভিডিও করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন।