লকডাউন মেনে পরিষেবা দিতে নারাজ, বিহারে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন নাপিতকে!
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 05 May 2020 01:10 PM (IST)
লকডাউনে পরিষেবা দিতে নারাজ, গুলি করে খুন করা হল নাপিতকে। বিহারের বাঙ্কা জেলার মইনভা গ্রামের ঘটনায় ফের সামনে এল লকডাউন অমান্য করা ও নৃশংসতার ছবি!
বিহার: লকডাউনে পরিষেবা দিতে রাজি না হওয়ায় গুলি করে খুন করা হল নাপিতকে। এমনই অভিযোগ। বিহারের বাঙ্কা জেলার মইনভা গ্রামের ঘটনায় ফের সামনে এল লকডাউন ভাঙতে রাজি না হওয়ায় নৃশংস আচরণের ছবি! দীনেশ ঠাকুর নামে ওই নাপিত লকডাউনের জেরে দোকান বন্ধ রেখেছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, দীনেশের পত্নী মুসো দেবী তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর থানায় যে এফআইআর দায়ের করেন, তার বয়ান অনুযায়ী, দোকান বন্ধ রাখায় গ্রামবাসীরা বারবার হুমকি দিচ্ছিল দীনেশকে। গ্রামের সবার চুল কাটা ও দাড়ি কামানোর মতো কাজ করার জন্য বারবার চাপ দেওয়া হচ্ছিল তাঁকে। লকডাউনের মধ্যে কোনওরকম কাজ করবেন না বলেই সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন দীনেশ। কারণ তাতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে ভয় ছিল তাঁর। এরপর গ্রামবাসীদের মধ্যে থেকেই বিপিন দাস বলে এক ব্যক্তি তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরদিন সকালে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় ওই নাপিতের গুলিবিদ্ধ দেহ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দীনেশের শরীরে দুটি বুলেটের দাগ ছিল। মূল অভিযুক্ত বিপিন দাস এখনও পলাতক। তদন্ত শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগেই মধ্যপ্রদেশের খারগোন জেলার বরগাঁও গ্রামে সেলুনে চুল দাড়ি কাটতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন ৬ জন। ফলে সিল করতে হয়েছিল গোটা গ্রাম। লকডাউনে নিয়ম ভেঙে সেলুন খোলা রাখায় আটক করা হয়েছিল মালিককেও। লকডাউনের বিধি মেনে চলার জন্যই কি প্রাণ হারাতে হল নাপিতকে? উঠছে প্রশ্ন বিহারের এই ঘটনায়।