অতি সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে সামনের সারিতে যাঁরা লড়াই করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে হিংসা, দুর্ব্যবহার ও গালিগালাজ কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরীন উত্পাদকরা পিপিএ-র উত্পাদন শুরু করেছেন এবং কোভিড-যোদ্ধাদের এক কোটি পিপিই সরবরাহ করেছেন, যা মেক ইন ইন্ডিয়া মিশনের একটা বড় প্রাপ্তি। করোনা অতিমারির বিরুদ্ধে চিকিত্সকদের ভূমিকার বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সারা বিশ্বই আপনাদের কাছে ‘যত্ন’ ও ‘ আরোগ্য’-উভয়ই চাইছে। এমন এক সময়ে সারা বিশ্ব আমাদের চিকিত্সক, নার্স, চিকিত্সা কর্মী ও বৈজ্ঞানিক মহলের দিকে আশা ও কৃতজ্ঞতা নিয়ে তাকিয়ে।
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সাফল্য উল্লেখ করে মোদি বলেছেন, এটি সারা বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্ হেল্থ কেয়ার স্কিম। তিনি বলেছেন, দুই বছরের কম সময়ের মধ্যে ১ কোটি মানুষ এই প্রকল্পে উপকৃত হয়েছেন। মহিলা এবং গ্রামের বাসিন্দারাও এর সুফল পেয়েছেন।
সারা দেশে আরও ২২ টি এমইস তৈরির কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, গত পাঁচ বছরে এমবিবিএসে আরও ৩০ হাজার আসন ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন স্তরে আরও ১৫ হাজার আসন যোগ করা সম্ভব হয়েছে।
তিনটি বিষয়ের ওপর প্রধানমন্ত্রী সবচেয়ে বেশি আলোচনা ও অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন।
১. টেলি-মেডিসিনের ক্ষেত্রে অগ্রগতি- আরও বেশি মাত্রায় টেলি-মেডিসিনকে জনপ্রিয় করে তুলতে নিত্যনতুন মডেলের ওপর গবেষণার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
২. স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে মেক ইন ইন্ডিয়া- মোদি বলেছেন, এ ব্যাপারে প্রাথমিক প্রাপ্তি সম্পর্কে তিনি আশাবাদী। তিনি বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরীন উত্পাদকরা পিপিএ-র উত্পাদন শুরু করেছেন এবং কোভিড-যোদ্ধাদের এক কোটি পিপিই সরবরাহ করেছেন।
৩. স্বাস্থ্যকর সমাজের জন্য় আইটি সংক্রান্ত ব্যবস্থা
প্রধানমন্ত্রী আরোগ্য সেতু অ্যাপের উপযোগিতার প্রশংসা করে বলেছেন, ১২ কোটি স্বাস্থ্য-সচেতন মানুষ এই অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই অ্যাপ খুবই সহায়ক।