জলন্ধর: শুধু হাত ধুয়েই নয়,সঙ্গে জুতো পরিষ্কার করেও করোনাভাইরাসের মোকাবিলা করা যেতে পারে। জলন্ধরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি-র বিশেষজ্ঞরা জুতোকে জীবাণুমুক্ত করার জন্য শ্যু স্যানিটাইজিং ব্যবস্থার ধারণা দিয়েছেন। এর মাধ্যমে বাড়ি, অফিস ইত্যাদির প্রধান প্রবেশ পথে সহজেই তৈরি করা যায়। খরচ হবে পাঁচ হাজার টাকার মতো। তা বাজারে যে দাবি শ্যু স্যানিটাইজিং ম্যাটস পাওয়া যায়, তার তুলনায় ভালো বিকল্প হয়ে উঠতে পারে।
সংস্থার ডিরেক্টর ডক্টর ললিত কুমার অবস্থি বলেছেন, পরীক্ষামূলকভাবে ক্যাম্পাসের প্রবেশ পথে এমনই স্য়ানিটাইজিংয়ের ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে এবং এর ব্যবহার করেই সংস্থায় প্রবেশ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এনআইটি-র কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. শৈলেন্দ্র বাজপেয়ী ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন বিভাগের অধ্যাপক আরকে গর্গ ও অণীষ সচদেবা জানিয়েছেন, ক্যাম্পাস বা সংস্থার প্রবেশ পথে চার ফুট বাই ছয় ফুট আকারের বা উপযুক্ত আকারে একটি করে ইঁট জুড়ে ট্রে আকৃতির পরিসর তৈরি করা হয়েছে। এতে এক থেকে দুই হাজার টাকা খরচ হবে। এর ওপরে বসানো হয়েছে একই আকারের স্পঞ্জ সিট। এক শতাংশ সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড পাঁচ লিটার জলে মিশিয়ে স্পঞ্জ সিটে ঢালা হয়েছে, যাতে এই সিট ওই তরলে ভিজে থাকে।
এনআইটি-তে আগত প্রত্যেককেই এর ওপর দিয়ে হেঁটে আসতে হবে। এটা পার করতে ২২ থেকে ২৮ সেকেন্ড সময় লাগে। এই সময়ে জুতোর সোল জীবাণুমুক্ত হযে যাবে। এটা ২৪ ঘন্টা ব্যবহার করা যায়। প্রতিবারে পাঁচ লিটার সলিউশন প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠন প্রমাণ করেছে যে, এক শতাংশ হাইপোক্লোরাইডের মিশ্রণ করোনাকে নির্মূল করতে পারে। একবার মিশ্রন স্পঞ্জ সিটে ঢাললে তা চার-পাঁচ ঘন্টার জন্য পর্যাপ্ত হবে। বাড়িতে ব্যবহারের জন্য ছোট আকারে তা তৈরি করলে চলবে।
এনআইটি-র বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, এর আগে তাঁরা চিন, আমেরিকা, ইটালি বিভিন্ন দেশের সংক্রমণের প্রবণতার বিষয়টি খতিয়ে দেখেছেন। এর থেকে দেখা গিয়েছে যে, করোনা ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে লোকজনের জুতোও ভাইরাসের বাহক হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে ইতালিতে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা জুতোর কারণে হয়েছে। এই ভাইরাস জুতোর সোলে চার থেকে ছয়দিন টিকে থাকতে পারে।