নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন জারি হয়েছিল। আগামীকাল মঙ্গলবার ওই লকডাউনের শেষদিন। আর লকডাউনের ২১ তম দিনেই সকাল ১০ টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর ভাষণে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা হতে পারে বলে অনুমান।
উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয়বার বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেছিলেন। বৈঠকে বেশিরভাগ মুখ্যমন্ত্রীই লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির পক্ষেই মত প্রকাশ করেছিলেন। এখন জল্পনা চলছে যে, লকডাউন পর্ব -১ লকডাউনের থেকে কিছুটা আলাদা হতে পারে, অর্থাত্ কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হতে পারে। এই সব ছাড়ের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে করা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।


উদাহরণ হিসেবে বলা যায যে, কৃষকদের জন্য বেশ কিছু ঘোষণা করা হতে পারে। কারণ, এখন রবি শষ্য তোলার সময়। এক্ষেত্রে গ্রামীন অঞ্চলের কৃষকদের ফসল তোলার জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অন্য কয়েকটি ছাড় দেওয়া হতে পারে।
লকডাউনের সময় অত্যাবশ্যক পণ্যসামগ্রীর সরবরাহ অব্যাহত রাখার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনার মধ্যে রয়েছে। সঠিক সময়ে সঠিক দামে যাতে পণ্য ক্রেতাদের হাতে পৌঁছয়, তা নিশ্চিত রাখার ব্যবস্থা করা হবে। কেন্দ্র সরকার রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে স্থানীয় উদ্যোগে নিযুক্ত শ্রমিক ও কর্মীদের নিয়ে আসা ও নিয়ে যাওয়ার জন্য বিশেষ ট্রেন ও বাস চালাতে চায়, যাতে অত্যাবশ্যকর পণ্যের সঙ্গে যুক্ত ক্ষেত্রে শ্রমিক ও কর্মীর অভাব না হয়। এই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে কিছু ঘোষণার আশা করা হচ্ছে।
বর্তমানে দেশের ৩০০ জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। এরফলে অন্যান্য জেলাগুলিতে শর্তাধীন কিছু ছাড়ের ঘোষণাও হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল যে, সংক্রমণের নিরিখে দেশকে চারটি অঞ্চলে চিহ্নিত করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। লাল, হলুদ, সবুজ ও কমলা-এই চারটি অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করে সেই অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
লাল অঞ্চল অর্থাত, যেখানে করোনা সংক্রমণের ঘটনা খুব বেশি। যেখানে সীমিত সংক্রমণ, সেই অঞ্চলগুলি কমলা অঞ্চল। এই দুটি অঞ্চলে লকডাউন চলবে। হলুদ অঞ্চলে লকডাউনে কিছু ছাড় মিলতে পারে। তবে এক্ষেত্রে থাকতে পারে শর্ত। অন্যদিকে, সবুজ অঞ্চলে লকডাউনে ছাড় দেওয়া হতে পারে।