ক্লিমিস বলেছেন, সাতনায় সভা করতে যাওয়া খ্রিষ্টান পাদ্রি ও সভার সংগঠকদের ওপর হামলা চলেছে অথচ রাজ্য সরকার পাদ্রিদের বিরুদ্ধেই মামলা ঠুকে দিয়েছে। প্রকৃত অপরাধীদের ধরার বদলে তারা গ্রেফতার করছে দরিদ্র ও নিরপরাধদের। এর পরেও সরকারের ওপর আগের মত ভরসা রাখা অসম্ভব।
তিনি আরও বলেছেন, বড় দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে ঠিকই। কিন্তু সরকারের এই অবস্থানের ব্যাখ্যা কী হতে পারে। কোনও আইনি রক্ষাকবচ পাদ্রিদের দেওয়া হচ্ছে না কেন। তাঁর বক্তব্য, দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা বজায় রাখা হোক। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, মেরুকরণ চলছে ধর্মের ভিত্তিতে। এর বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত।
গত সপ্তাহে মধ্যপ্রদেশের সাতনার একটি গ্রামে জনাতিরিশেক খ্রিষ্টান পাদ্রি ও সংগঠককে আটক করে পুলিশ। স্থানীয় বজরং দল কর্মীরা অভিযোগ করেন, তাঁরা গ্রামবাসীদের জোর করে ধর্মান্তরণের চেষ্টা করছেন। পরে ধর্মান্তরণ বিরোধী আইনে এক পাদ্রিকে গ্রেফতারও করা হয়।
কিন্তু ক্যাথলিক সংগঠনটির দাবি, সাতনায় ধর্মান্তরণ চলছিল না, মিথ্যে অভিযোগ এনে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। শুধু নির্বাচন এসে পড়লেই গির্জা ও পাদ্রিদের ওপর হামলার খবর বার করা হয় বলে যে অভিযোগ, তাও অস্বীকার করেছে তারা।