নয়াদিল্লি: রাহুল গাঁধীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ শশী তারুর। এখানে এক অনুষ্ঠানে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু কলেজের পড়ুয়াদের প্রশ্নের উত্তরে কংগ্রেস সভাপতির মধ্যে গভীর বৌদ্ধিক কৌতূহল আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।যদিও রাহুলের এই দিকটা দেশের মানুষ খুব বেশি জানে না, এটাই দুঃখের ব্যাপার বলে আক্ষেপ করেছেন তারুর।
দলীয় সভাপতি সম্পর্কে তাঁর ধারণা জানতে চাওয়া হলে তিরুঅনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ বলেন, গাঁধী বহু ভাবনা, ধারণা, দৃষ্টিভঙ্গি, উত্কণ্ঠা, এমন জ্ঞান, শব্দভান্ডার নিয়ে সমৃদ্ধ হয়েছেন, যা আজকের বহু যুবককে আকৃষ্ট করবে। গাঁধী ধর্ম, ধর্মীয় ধ্যানধারণা, বিশ্বাস নিয়ে গভীর ভাবনাচিন্তা করেছেন। উনি শিবভক্ত, নিষ্ঠার সঙ্গে বৌদ্ধধর্মের উপাসনার অনুশীলন করেছেন, তার বিভিন্ন ধারার মধ্যে পার্থক্য ও হিন্দু দর্শন নিয়ে বলতেও পারেন।
একটি ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৩-র জানুয়ারিতে জয়পুরে কংগ্রেসের সহ সভাপতি পদে রাহুলের উত্থান নিয়ে যখন রাজনৈতিক আলোচনা, বিশ্লেষণ চলছে, ওনাকে তখন দেখা গিয়েছিল ব্ল্যাক সোয়ান তত্ত্বের উদ্ভাবক নাসিম নিকোলাস তালেবের প্রকাশ করা একটি নতুন বইয়ের বিষয়বস্তুর ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। গাঁধী এক দারুণ আকর্ষণীয় ব্যক্তি, গভীর বৌদ্ধিক কৌতূহলের অধিকারী, প্রচুর পড়াশোনা করেছেন। আমি দু দফায় মন্ত্রী থাকাকালে সংসদে ওঁর ঠিক পিছনে বসতাম। প্রতিদিনই আমাদের কথা হত। যে বিষয়গুলি উনি তুলতেন, তা অবধারিত ভাবে যে বইগুলি উনি পড়তেন, তার ওপর। উনি এমন ধরনেরই মানুষ। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল, দেশের লোকজন খুব বেশি তাঁর এদিকটা দেখেনি।
বর্তমানে দেশে দুটি ভিন্ন ধারার নেতৃত্বের মধ্যে একটিকে বেছে নেওয়ার সময় এসেছে বলে অভিমত জানান তিনি। বলেন, একদিকে চলছে ওয়ান-ম্যান শো। একদিকে নায়কের মতো একজন বলছেন, সব কিছুর সমাধান তাঁর কাছে আছে, আরেকদিকে রয়েছেন এক যুবা যিনি বলেন, সব প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে নেই, তবে আমি আপনাদের কাছে এসে শুনব, একদল অভিজ্ঞ মানুষকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করব।'