প্রাক্তন বায়ুসেনা কর্মীর পুত্র ওই লেখক তাঁদের দিকে ঘুরে জানান, তাঁর না ওঠার কারণটা হয়তো বুঝতে পারেননি তাঁরা। ভুল বুঝতে পেরে মাথা নীচু করে দ্রুত সরে পড়েন ওই দুজন। তবে ঘটনাটি ভিতরে ভিতরে নড়িয়ে দেয় চতুর্বেদীকে। এমন মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা হওয়ার পর থেকে পাছে আবার ধাক্কা খেতে, অপমানিত হতে হয়, এই ভয়ে আর সিনেমা হলমুখো হন না তিনি। চতুর্বেদী বলেছেন, আমার বাবা প্রাক্তন বায়ুসেনা কর্মী। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে হুইলচেয়ার টেনিসে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছি। কিন্তু কী পরিণতি দেখুন। ভারতকে কতটা ভালবাসি, তার প্রমাণ চাইছে লোকে!
স্বঘোষিত দেশপ্রেমের এমন উত্কট চেহারা নতুন নয়। গত বছরের ডিসেম্বরেই জাতীয় সঙ্গীত চলাকালে না দাঁড়ানোয় মুম্বইয়ের সিনেমা হল থেকে বের করে দেওয়া হয় একটি মুসলিম পরিবারকে। এ বছর জানুয়ারিতেই একই ঘটনায় বলিউডের এক স্ক্রিনলেখককে সিনেমা হলে ঢুকে পাহারা দিয়ে বের করে আনতে হয় পুলিশকে। মুম্বইয়ের প্রেক্ষাগৃহে জাতীয় সঙ্গীত বাজার মধ্যে উঠে না দাঁড়ানোয় অভিযোগ দায়ের করা হয় দুজন মহিলার বিরুদ্ধে।