চণ্ডীগড়: সিরসায় ডেরার সচ্চা সৌদার সদর দফতরের ভেতরে তল্লাশি-অভিযান প্রক্রিয়ার ওপর নজর রাখতে অবসরপ্রাপ্ত দায়রা বিচারককে কোর্ট কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট।


ডেরা সদরে ঢুকে তল্লাশি-অভিযান অনুমতি চেয়ে গত শুক্রবার হাইকোর্টে আবেদন করে হরিয়ানা প্রশাসন। তাদের দাবি, বিচারবিভাগীয় নজরদারির অধীনেই হোক গোটা প্রক্রিয়া।


মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টার দাবি করেন, আদালতের নির্দেশ ছাড়া ডেরার সদর দফতরে বাহিনী নিয়ে প্রবেশ করা উচিত নয়। কোনও ঘটনার জন্য তাঁদের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হোক, এটা তাঁরা চান না।


এদিন অবসরপ্রাপ্ত দায়রা বিচারক এ কে এস পওয়ারকে কোর্ট কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করে তিন বিচারপতির বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, তাঁর নজরদারিতেই চলবে ‘স্যানিটাইজেশন’ প্রক্রিয়া। হরিয়ানার অ্যাডভোক্যাট জেনারেল জানান, গোটা স্বচ্ছতা বজায় রাখতে গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হবে।


জানা গিয়েছে, এই অভিযানে রাজ্যের কর, রাজস্ব দফতরের আধিকারিকরা অংশ নেবেন। থাকবেন পুলিশ ও অন্যান্য নিরাপত্তা এজেন্সিও। প্রসঙ্গত, সিরসার ডেরা সদরের মোট আয়তন প্রায় ১০০০ একর। এর মধ্যে স্কুল, সিনেমা, শপিং কমপ্লেক্স সব রয়েছে।


ডেরা প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিংহ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পাঁচকুলায় হিংসার জেরে অন্তত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়। সিরসায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এই ঘটনা নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন রবীন্দ্র ধুল নামে পঞ্চকুলার এক বাসিন্দা। তাঁর অভিযোগ, ১৪৪ ধারা জারি করা সত্ত্বেও অন্তত দেড় লক্ষ মানুষ পঞ্চকুলায় এসেছিলেন। ফলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়।


খট্টার অবশ্য সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা গাফলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, প্রশাসন সজাগ না থাকলে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তিনি পদত্যাগ করবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।