ভুবনেশ্বর: রোজভ্যালিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল সাংসদ তাপস পালের তিন দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল ভুবনেশ্বরের আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন সিবিআই-এর আইনজীবী। পাল্টা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন তাপসের আইনজীবী। এদিন এজলাসে কেঁদে ফেলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ।


এদিকে, রোজভ্যালিকাণ্ডে তাপস পালের গ্রেফতারি নিয়ে নয়া তথ্য এসেছে সিবিআই-এর হাতে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক, সেবি ও আরবিআইকে পাঠানো তাপসের লেখা মূল চিঠি মিলেছে রোজভ্যালির অফিসের গোপন কুঠুরিতে। বকলমে চিঠি লিখেছিলেন সংস্থার কোনও কর্তাব্যক্তি। এমনটাই অনুমান সিবিআই-এর। তাদের দাবি, এ বছরের জুলাই মাসে সল্টলেকে সেক্টর ফাইভে ডিএলএফ বিল্ডিংয়ে রোজভ্যালির অফিসে মেলে একটি গোপন কুঠুরি। তার দেওয়াল ভেঙে উদ্ধার হয় তাপসের লেখা মূল চিঠিটি।

২০১০ সালে রোজভ্যালি ছাড়ার পরেও ২০১৩ সাল পর্যন্ত ওই সংস্থা থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন তাপস। এমনকি স্ত্রী ও মেয়ের জন্যও রোজভ্যালির কাছ থেকে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাপসের বিরুদ্ধে। গ্রেফতারের পর তৃণমূল সাংসদকে ম্যারাথন জেরা করা হয়। গতকাল রাতে তাঁকে বিমানে ওড়িশায় নিয়ে যান সিবিআই অফিসাররা। গতকাল রাতের খাবার খাওয়ার পর ঘুমোন তাপস। তাঁকে বিছানাও দেওয়া হয়। সকালে চা-বিস্কুটও খান তৃণমূল সাংসদ। এরপর সকাল থেকে শুরু হয় টানা জেরা।

সিবিআই সূত্রে খবর, রোজভ্যালির কাছ থেকে শুধু চেকে নয়, বেশ কয়েকবার নগদ টাকা নিয়েছেন তাপস। টাকা নেওয়ার প্রমাণ দাখিল করে গতকাল তাঁকে প্রায় চারঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই অফিসাররা। তৃণমূল সাংসদ অনেক প্রশ্নেরই সদুত্তর দিতে পারেননি। এরপর তাঁকে নিয়ে আদালতের দিকে রওনা দেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।