নয়াদিল্লি: মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের বাড়িতে দিল্লির মুখ্যসচিব অংশু প্রকাশকে নিগ্রহের অভিযোগে গ্রেফতার করা আম আদমি পার্টির (আপ) দুই বিধায়ক প্রকাশ জারওয়াল ও আমনতুল্লাহ খানকে। তবে এই দুই বিধায়কের পুলিশি হেফাজতের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে আদালত। দিল্লি পুলিশ এই দুই বিধায়ককে হেফাজতে নিয়ে দু’দিন জেরা করতে চেয়েছিল। এর বদলে আগামীকাল পর্যন্ত তাঁদের তিহাড় জেলে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি শেফালি বার্নালা ট্যান্ডন। তিনি দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনারকে ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল এই ঘটনার উপর নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় দিল্লির রাজনীতি। মুখ্য সচিবের অভিযোগ, বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ডাকা বৈঠকে তাঁকে হেনস্থা করা হয়। উত্তর দিল্লির সিভিল লাইন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মুখ্যসচিব। যদিও আপের দাবি, বৈঠক ডাকা হয় রেশন ব্যবস্থা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। বৈঠকে মুখ্যসচিব কোনও প্রশ্নের জবাব দেননি। তিনি আপ বিধায়কদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ। এদিকে, মুখ্যসচিবের নিগৃহীত হওয়ার ঘটনায় সরব হয়েছেন দিল্লির রাজ্য সরকারি কর্মীরা। নিগ্রহের প্রতিবাদে ধর্মঘটও শুরু করেছেন তাঁরা।

এই ঘটনায় গতকাল রাতেই আপ বিধায়ক জারওয়ালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর আমনতুল্লাহকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের গ্রেফতারির তীব্র নিন্দা করেছে আপ। দলের মুখপাত্র সৌরভ ভরদ্বাজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, আইএএসের ভুয়ো অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি পুলিশ জারওয়ালকে গ্রেফতার করেছে। কোনও তথ্যপ্রমাণ ছা়ড়াই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।





ভরদ্বাজের প্রশ্ন, সচিবালয়ে যাঁদের মন্ত্রীদের মারধর করতে দেখা গিয়েছেন সেই আইএসএস আধিকারিকদের গ্রেফতার করা হল না কেন? তিনি বলেছেন, এক মন্ত্রী এফআইআর দায়ের করেছেন, ভিডিও সাক্ষ্যও রয়েছে। তারপরও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। গ্রেফতার হওয়া দুই বিধায়কও মুখ্যসচিবের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।