নয়াদিল্লি: ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিন তৈরি করছে ভারত বায়োটেক। এই ভ্যাকসিন আগামী বছরের জুনের আগেই নিয়ে আসার প্রস্তুতি চলছে।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকার জরুরিকালীন ভিত্তিতে আগেভাগে ছাড়পত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে আসবে কোভ্যাক্সিন।
হায়দরাবাদের এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা তাদের সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার জন্য ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)-র কাছে গত ২ অক্টোবর আবেদন জানিয়েছিল।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সাই প্রসাদ বলেছেন, সরকার চাইলে জরুরিকালীন ব্যবহারের ছাড়পত্র দিতে পারে, দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা পর্যালোচনা করে। তারা বলতে পারে যে, আমাদের এটা প্রয়োজন কারণ, তা গুরুত্বপূর্ণ। এবং আমাদের পশুর ওপর প্রয়োগ এবং প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার ভালো তথ্য রয়েছে।
তৃতীয় পর্যায়ে কোম্পানির ১৮ বছর ও তার বেশি বয়সের ২৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর ওপর ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী মাসের মাঝামাঝি এই পর্বের ট্রায়াল শুরু হবে।
দেশের ২৫ থেকে ৩০ টি জায়গায় এই পরীক্ষা করা হবে এবং এ ব্যাপারে প্রত্যেক স্থানের ক্ষেত্রে এথিক্স কমিটির অনুমোদন পাওয়ার ব্যাপারে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রসাদ। এই স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে দিল্লি, মুম্বই, পটনা ও লখনউয়ের মতো শহর।
ভারত বায়োটেক ছাড়াও দেশে তৈরি আরও এক সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের মানবদেহে দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার মধ্যে রয়েছে জাইডাস ক্যাডিলা লিমিটেড।
পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ডের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির জন্য অ্যাস্ট্রা জেনিকার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। ভারতে এখন ওই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বের পরীক্ষার কাড চলছে এই ভ্যাকসিনের।