নয়াদিল্লি: ভারতের প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্র মলদ্বীপ। মোট জনসংখ্যা সাড়ে চার লক্ষের মতো। করোনা অতিমারির সময় খাবার, ওষুধ-সহ নানা সামগ্রী সে দেশে পাঠিয়ে সাহায্য করেছে ভারত। এছাড়া সে দেশের কোভিড যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, পিপিই কিট পাঠানো-সহ করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধের যাবতীয় সামগ্রী পাঠিয়ে মলদ্বীপকে সাহায্য করেছে নয়াদিল্লি। পাশাপাশি ২৫ কোটি মার্কিন ডলার আর্থিক সাহায্যও করেছে। এবার করোনার টিকা পাঠিয়ে সৌহার্দ্যের নতুন নজির গড়ল ভারত। বুধবারই মলদ্বীপকে করোনার ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে ভারত।


বুধবার থেকে ভারতে তৈরি করোনার টিকা সাধারণ মানুষকে দেওয়া শুরু হচ্ছে প্রতিবেশী দেশ মলদ্বীপে। সেই অর্থে মলদ্বীপই প্রথম দেশ, যারা ভারতে তৈরি টিকা দিচ্ছে। মঙ্গলবার এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে মালে পৌঁছে গিয়েছে ‘কোভিশিল্ড’ টিকা। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার মিলিত গবেষণায় তৈরি হয়েছে করোনাভাইরাসের টিকা ‘কোভিশিল্ড’। সেই টিকা ভারতে উৎপাদন করছে পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট। ইতিমধ্যেই কোভিশিল্ডকে জরুরি ভিত্তিতে সাধারণ মানুষের উপর প্রয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছে ভারত।  টিকাদানের কর্মসূচিও চলছে দেশজুড়ে।

এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে মলদ্বীপ সরকারও। সেখানেও চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ প্রথম শ্রেণির কোভিড যোদ্ধাদের আগে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই মতো ভারতের কাছ থেকে এই টিকা নিচ্ছে মলদ্বীপ। টিকাদান কর্মীদের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে সংরক্ষণ ও অন্যান্য যাবতীয় পরিকাঠামো প্রস্তুত। মঙ্গলবার দুপুরে টিকাও পৌঁছে গিয়েছে দেশে। তার পর মালে বিমানবন্দর থেকে টিকাকেন্দ্রগুলিতে পৌঁছে দেওয়ার কাজও প্রায় সারা। সাউথ ব্লকের একটি সূত্র জানিয়েছে, যে সংখ্যক টিকা পাঠানো হয়েছে, তাতে মলদ্বীপের প্রথম সারির যোদ্ধাদের সবাই টিকা পাবেন। আর একটি সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ভুটানকে দেড় লক্ষ এবং মলদ্বীপকে এক লক্ষ কোভিশিল্ডের ডোজ পাঠানো হচ্ছে।

বাংলাদেশে ভারতের করোনা ভ্যাকসিনের সরবরাহের খবর আগেই জানা গিয়েছিল। বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বের আরও ৬টি দেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করছে ভারত। এই দেশগুলির তালিকাতে রয়েছে ভুটান, মলদ্বীপ, মায়ানমার, সিশিলিসও।