নয়াদিল্লি: গো হত্যা রোধে গুজরাত বিধানসভায় বিল পাশ হল। বিলে সাজার মাত্রা আরও কঠোর করা হয়েছে। এতদিন গো-নিধনে সাত বছরের কারাবাসের সাজা হত। নয়া বিলে তা বাড়িয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা হয়েছে।

এতদিন চালু থাকা বিলে সংশোধন ঘটানোর ফলে গোরক্ষায় দেশের মধ্যে সবচেয়ে জোরালো আইন হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যেই। যে সংশোধনীগুলি আনা হয়েছে, সেগুলির অন্যতম হল, গোহত্যায় ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ধার্য হবে। গোমাংস পাচার, সরবরাহে ব্যবহৃত গাড়িও পাকাপাকি বাজেয়াপ্ত হবে। পাশাপাশি গোহত্যাকে জামিন-অযোগ্য ও ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ বলেও ধরা হতে পারে।

গুজরাতে বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসতে পারে বলে জল্পনার মধ্যেই পাশ হল নতুন বিলটি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানির সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন ভাষণেও বারবার উল্লিখিত হয়েছে গো হত্যা রোধের বিষয়টি। রাজনৈতিক মহলের খবর, বিজেপি নেতৃত্বের ধারণা, উত্তরপ্রদেশে দলের অভূতপূর্ব সাফল্যের পর গোনিধন রোধের ইস্যুতে বড় সাফল্য আসতে পারে গুজরাত ভোটে। পতিদারদের জন্য সরকারি চাকরি, কলেজে সংরক্ষণের দাবিতে  আন্দোলনে কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে রাজ্য-রাজনীতি।  সেখানে গোনিধন রোধ বড় অস্ত্র হতে পারে দলের হাতে। আরেক বিজেপি শাসিত রাজ্য রাজস্থানে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের কেন্দ্রে বছর ১৫ হাজার টাকা দিয়ে  একটি গরু দত্তক নেওয়ার ব্য়বস্থা আছে।

গত ১২ মার্চ এক অনুষ্ঠানে রুপানি বলেন, গোরক্ষায় গুজরাতে আইন আনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়তে হয়েছে আমাদের। এবার আইনটা আরও কঠোর করতে চাই আমরা। বিধানসভার চলতি বাজেট অধিবেশনেই বিল আনব। তারও কয়েকদিন আগে তিনি জানিয়েছিলেন, গাও, গঙ্গা, গীতা রক্ষায় বিজেপি দায়বদ্ধ।

২০১১-য় নরেন্দ্র মোদী জমানায় গুজরাতে  গুজরাত পশু সংরক্ষণ আইন, ১৯৫৪ সংশোধন করে গোহত্যা, গোমাংস গাড়িতে পাঠানো পুরোপুরি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়। গত ৬ বছরে  প্রতি বছর গোহত্যার হাজারখানেক মামলা রুজু হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি আইনি প্রক্রিয়া, জামিন পাওয়ার সুযোগ থাকায় কার্যত একটিতেও সাজা হয়নি।