গুয়াহাটি: প্রধানমন্ত্রীর নিন্দা সত্ত্বেও, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে চলেছে গো-রক্ষার নামে ‘দাদাগিরি’। এবার, গরু-বোঝাই গাড়ি আটকানোর অভিযোগ উঠল গো-রক্ষকদের বিরুদ্ধে। শুধু আটকানোই নয়, গাড়িচালক ও তাঁর সহকারীকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ।
খবরে প্রকাশ, রবিবার গুয়াহাটির কাছে সোনাপুর অঞ্চলে একটি ট্রাক ও ২টি টেম্পোয় গবাদি পশু স্থানান্তরিত করা হচ্ছিল। এমন সময় গাড়িগুলিকে আটকায় গো-রক্ষকরা। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, তাঁদের কাছে খবর পৌঁছয়, হিন্দু যুব ছাত্র পরিষদের দিমোরিয়া ইউনিটের কয়েকজন সদস্য তিনটি গাড়ি আটকায়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামলায়।
ওই আধিকারিক জানান, গবাদি পশু স্থানান্তরিত করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল চালকের কাছে। তা সত্ত্বেও জোর করে আটকানোর অভিযোগ উঠেছে সংগঠনের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, ট্রাকটি আপার অসমের তিনসুকিয়া থেকে আসছিল। টেম্পো ২টি জাগিরোড মার্কেট থেকে ফিরছিল। কয়েকটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দেখানো হয়, গো-রক্ষকরা চালক ও তাঁর সহকারীকে চড়-থাপ্পড় মারছেন।
তবে, পুলিশ তা অস্বীকার করে। ওই আধিকারিক জানান, কেউ শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ দায়ের করেননি। তিনি বলেন, গাড়িগুলির পারমিটে কিছু সমস্যা ছিল। তাই চালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়, পরিবহণ দফতরে গিয়ে তা সংশোধন করাতে।
প্রসঙ্গত, গো-রক্ষার নামে সাম্প্রতিক অতীতে দেশে একাধিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। গোমাংস রাখার সন্দেহে হরিয়ানার বল্লভগড়ের কিশোরকে ট্রেনের মধ্যেই পিটিয়ে খুন করে সহযাত্রীরা। আবার ঝাড়খণ্ডের রামগড়ে গোমাংস নিয়ে যাওয়ার সন্দেহে ব্যবসায়ী আলিমুদ্দিন আনসারির গাড়ি আটকায় দুষ্কৃতীরা। এরপর প্রায় ১০ জন মিলে আনসারিকে বেধড়ক মারধর করে। আনসারির মৃত্যু হয়।
এই একের পর এক ঘটনার প্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদে সামিল হন মানুষ। দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, বেঙ্গালুরুর মত অন্তত দেশের ১০টি শহরে সংগঠিত হয় প্রতিবাদ- ‘নট ইন মাই নেম’।
রবিবারই, গোয়ায় বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ দাবি করেছিলেন, ইউপিএ জমানায় গো-হত্যা ও গো-মাংস খাওয়া সন্দেহে বেশি পিটিয়ে খুনের ঘটনা ঘটেছিল।