তিরুঅনন্তপুরম: ডাবিং শিল্পী ভাগ্যলক্ষ্মীর ফেসবুক পোস্টের জেরে এক মহিলাকে গণধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় নড়েচড়ে বসেছে কেরলের পিনারাই বিজয়ন সরকার। অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন দলীয় কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে সিপিএম। অভিযুক্তদের নাম জয়ন্তন ও বিনীশ। শুক্রবার সন্ধেয় তাদের পার্টির ত্রিশূর কমিটির অফিসে নিয়ে গিয়ে এ ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হয়।


২ দলীয় কর্মীর মধ্যে জয়ন্তন আবার ওয়াডাকানচেরি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের সদস্য। গণধর্ষণের অভিযোগের জেরে কাউন্সিল থেকে তার পদত্যাগ করার ব্যাপারে অবশ্য সিপিএম এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। যদিও জয়ন্তনের দাবি, সে নির্দোষ, যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন।

অভিযোগকারিণী ও তাঁর স্বামী বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে জানান, কীভাবে ২ বছর আগের ওই ঘটনা তাঁদের জীবন বদলে দিয়েছে। পুলিশে অভিযোগ করতে গেলে, পুলিশ নাকি প্রশ্ন করে, ধর্ষকদের মধ্যে কাকে তিনি সবথেকে বেশি ‘এনজয়’ করেছেন। অপরাধীরা তাঁর সামনেই ঘুরত, টিটকিরি দিত তাঁকে। ভয় দেখাত ধর্ষণের ভিডিও ফুটেজ ফাঁস করে দেবে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে তারা। অভিযোগ জানাতে গিয়ে পুলিশের কাছ থেকে তিনি যে ব্যবহার পেয়েছেন, সে ব্যাপারেও আলাদা একটি তদন্ত শুরু হয়েছে।

কেরল বিধানসভাতেও বিষয়টি নিয়ে হইচই হয়। রাজ্য সরকার আশ্বাস দিয়েছে, অভিযোগের স্বচ্ছ তদন্ত হবে, অভিযুক্তদের অপরাধ সাব্যস্ত হলে কঠোর সাজা দেওয়া হবে তাদের। অপরাধীরা শাসক দলের সদস্য হলেও তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।