নয়াদিল্লি: অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির আওতায় যে জনগোষ্ঠীর মানুষজন পড়েন, তাঁদের মধ্যে সুবিধাভোগী অংশের মাপকাঠি দু লক্ষ টাকা বাড়িয়ে বছরে আট লক্ষ টাকা আয় করা হল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির সব মানুষ যাতে সমানভাবে সংরক্ষণের সুবিধা পান সেটা নিশ্চিত করার জন্য একটি কমিশন গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কমিশন অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মধ্যে শ্রেণিবিভাগ করবে।


কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট করে দিয়েছে, বর্তমানে যে সংরক্ষণ চালু রয়েছে, তাতে কোনও বদল আনা হচ্ছে না। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, সামাজিক ন্যায়বিধান ও সশক্তিকরণ মন্ত্রক অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির সুবিধাভোগী অংশের মাপকাঠি বাড়িয়ে আট লক্ষ টাকা আয় করার প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। শুধু পশ্চিমবঙ্গ সহ ১১টি রাজ্যে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মানুষের শ্রেণিবিন্যাস করা হয়েছে। অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির সব মানুষ যাতে সমানভাবে সংরক্ষণের সুবিধা পান, সেটা চাইছে সরকার। সংবিধানের ৩৪০ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই কমিশনের চেয়ারপার্সন নিয়োগ হওয়ার ১২ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে সংরক্ষণ ব্যবস্থায় বদলের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। কোন গোষ্ঠীর মানুষের কতদিন সংরক্ষণ দরকার, সেটা খতিয়ে দেখার জন্য অরাজনৈতিক কমিটি গঠনেরও দাবি জানিয়েছিলেন ভাগবত। তবে জেটলি এদিন বলেছেন, সরকারের কাছে এরকম কোনও প্রস্তাব নেই। ভবিষ্যতেও সরকার এ বিষয়ে কিছু ভাবছে না।