নয়াদিল্লি: আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল হয়ে গেল ১৯তম সার্ক সম্মেলন। বুধবার গভীর রাতে নেপাল পাকিস্তানকে লিখিতভাবে জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে সার্ক সম্ভব নয়, ফলে তা বাতিল করা হচ্ছে। সার্কের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও একটি সদস্য রাষ্ট্রও যদি সার্ক সম্মেলন বয়কট করে, তবে সম্মেলন হয় স্থগিত হবে, নয়তো বাতিল করতে হবে। ফলে ভারতীয় উপমহাদেশের আঞ্চলিক মঞ্চে পাকিস্তানকে চূড়ান্ত একঘরে করে দিকে দিল্লি পুরোপুরি সফল।


সার্কের চেয়ার রাষ্ট্র নেপাল জানিয়েছে, সার্ক সম্মেলন বাস্তবায়িত করতে গেলে আগে সহায়ক পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। কাঠমান্ডু বলেছে, সার্কের চেয়ার রাষ্ট্র হিসেবে নেপাল সরকার বৈঠকের সহায়ক পরিস্থিতি তৈরির জন্য আহ্বান জানাচ্ছে, যাতে সবকটি সদস্য দেশ এতে যোগ দিয়ে সার্কের উদ্দেশ্য তুলে ধরতে পারে।

উরি হামলার প্রেক্ষিতে ভারত জানিয়ে দেয়, ইসলামাবাদে এবারের সার্ক বৈঠক বয়কট করছে তারা। বাংলাদেশ, ভুটান এবং আফগানিস্তানও একইসঙ্গে লিখিতভাবে জানিয়ে দেয়, বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ১৯তম সার্ক সম্মেলনে যোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না তাদের পক্ষে। তিন দেশই নাম না করে পরোক্ষে পাকিস্তানের দিকেই আঞ্চলিক অস্থিরতা তৈরির জন্য আঙুল ওঠায়।

বাংলাদেশ তো আরও এক ধাপ এগিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের উচিত, পাকিস্তানকে জঙ্গি রাষ্ট্র বলে ঘোষণা করা। ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাই কমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলি বলেছেন, সার্কের ইতিহাসে এই প্রথম ৮ সদস্য দেশের মধ্যে ৪ দেশ ইসলামাবাদে সম্মেলন বয়কট করল। এটি অত্যন্ত কঠোর বার্তা। পাকিস্তানের এবার ঠিক করা উচিত, তাদের আগামী বিদেশ নীতি কোন পথে যাবে। তাঁর কথায়, সার্কের মত আঞ্চলিক সহযোগিতা সংক্রান্ত বৈঠক কী করে হওয়া সম্ভব, যখন পাক বিদেশমন্ত্রী সরাসরি পরমাণু হামলার হুমকি দিচ্ছেন। যুদ্ধ ও পরমাণু হামলা সংক্রান্ত আলোচনার জন্য সার্কের মঞ্চ নয়। তাঁর আরও বক্তব্য, ভারত ও বাংলাদেশের এবার অন্যান্য দেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়িয়ে কাজ করার সময় এসেছে।