নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ: পুলওয়ামায় জঙ্গি নাশকতার ৩ মাস পর একে অপরের সঙ্গে কথা বললেন ভারত-পাকিস্তান, দুই দেশের দুই প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করলেন ইমরান খান। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার আগে বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদির এই বিপুল জয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানাতেই ফোন করেছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের আরও খবর, ইসলামাবাদের ফোন পাওয়া মাত্রই ইমারানকে পারষ্পরিক শান্তি ও সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ তৈরির বার্তা দেন নরেন্দ্রে মোদি।


পিটিআই প্রকাশিত খবর অনুযায়ী রবিবার নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেন ইমরান খান। প্রথমেই মোদিকে তাঁর ঐতিহাসিক জয়ের জন্য শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন ইমারন। এরপর দুজনের মধ্যে ভারত-পাক দুই দেশের  সাম্প্রতিক সম্পর্ক নিয়েও কথা হয়। দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি বজায় রাখতে সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে, ফোনে ইমরানকে এই বার্তাই দেন মোদি। সূত্রের খবর, ইমরানকে মোদি বলেন, “সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি এবং পারষ্পরিক সহযোগিতার জন্য সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।”





উল্লেখ্য, ২৩ মে ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পরই টুইট করে নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছিলেন ইমরান খান। অতীতে, পাক প্রধানমন্ত্রী এও বলেছিলেন, মোদি ক্ষমতায় ফিরলে কাশ্মীর সমস্যা ও সীমান্তের শান্তি ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কথা বলার সুযোগ অনেকটাই বেড়ে যাবে। সংশ্লিষ্টমহলের মতে, সেই মতো মোদি ফের ক্ষমতায় ফিরতেই পারষ্পরিক সম্পর্কের উন্নতির জন্য হাত বাড়িয়ে দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। প্রথমে টুইট বার্তা, তারপর ফোন। কথা বলেই সমস্ত সমস্যার সমাধান চাইছে ইসলামাবাদ, ইমরানের পদক্ষেপই তা স্পষ্ট। শান্তির বার্তা গিয়েছে নয়াদিল্লি থেকেও।


প্রসঙ্গত, সামনের মাসেই সাংহাই কোঅপারেশন অরগানাইজেশনের  একটি সম্মেলনে মিলিত হবেন ইমরান খান এবং নরেন্দ্র মোদি। তার আগে দুই রাষ্ট্রনেতার এই মত বিনিময়কে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবেই দেখছে ওয়াকিবহাল মহল।