সরাসরি কিছু না বললেও, অমিতাভ বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি সেন্সর বোর্ডের কড়াকড়ির বিপক্ষে। তাঁর মতে, ‘উড়তা পঞ্জাব’ ছবির নির্মাতারা প্রয়োজনে ট্রাইব্যুনাল বা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। একটি ছবি মুক্তি পাওয়ার ঠিক আগে সেন্সর বোর্ড হস্তক্ষেপ করে। এটাই একমাত্র সমস্যা।
এই ছবি নিয়ে বিতর্কে বলিউডের অনেক নক্ষত্রই সেন্সর বোর্ডের বিরুদ্ধে সরব। কর্ণ জোহর, আনন্দ রাই, কবীর খান, মহেশ ভট্টরা সেন্সরশিপের তীব্র সমালোচনা করেছেন। এই ছবিতে অভিনয় করা শাহিদ কপূরও সেন্সর বোর্ডের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন।
বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ আমির খানও ‘উড়তা পঞ্জাব’-এর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এই ছবিকে যে ঝামেলার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে তাতে আমি ব্যথিত। আমি যতদূর জানি, এই ছবি তৈরি হয়েছে মাদকের নেশা নিয়ে। ছবিতে সামাজিক বার্তা আছে। আমার মনে হয় না এতে এমন কিছু আছে যা দর্শকদের দেখতে দেওয়া উচিত না।’
এই বিতর্কের ফলে সেন্সর বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও মনে করছেন আমির। তাঁর মতে, প্রত্যেক ভারতীয়রই বাক্-স্বাধীনতা আছে। ছলচ্চিত্র নির্মাতাদের কন্ঠরোধ করা উচিত নয়। ট্রাইব্যুনালে গেলে ‘উড়তা পঞ্জাব’-এর নির্মাতারা সুবিচার পাবেন বলেই আশা আমিরের।