রাজগীর: জিআইজি পদমর্যাদার অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিল সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স। অভিযোগ, ডি কে ত্রিপাঠীর নামের ওই অফিসার তাঁর এক অধস্তন কনস্টেবলের মুখে গরম জল ছুড়ে দিয়েছেন। জখম কনস্টেবল অমল খরত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এই ঘটনায় তিনি কোনও রকম অভিযোগ দায়ের করেননি। উল্টে গোটা ঘটনাই চেপে যাওয়ার জন্য কনস্টেবলের ওপরে চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তবে অমলের ছবি সহ ডিআইজি-র বিরুদ্ধে এমন আচরণের অভিযোগ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া মাত্রই তা ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরই নড়েচড়া বসে সিআরপিএফ। তদন্ত শুরু হয় ডিকে ত্রিপাঠীর বিরুদ্ধে। ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার ত্রিপাঠীকে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে, তিনি তদন্ত চলার কথা বলে গোটা বিষয়টিই এড়িয়ে যান।


বিহারের রাজগীরের যে প্রশিক্ষণ শিবিরে এই ঘটনা ঘটেছে, সেখানকার দায়িত্বে থাকা সহকারি কমান্ডান্ট পিএন মিশ্র কনস্টেবলের জখম হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, গরম জলে যে কেউ জখম হতে পারেন। তবে কীভাবে অমলের মুখে গরম জল পড়ল, তা নিয়ে পরিষ্কার করে তিনি কিছু বলেননি।


সূত্রের খবর, ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার ওই কনস্টেবলের কাছে গরম জল চেয়ে পাঠান। অমল উচ্চপদস্থ অফিসারের নির্দেশ মতো ফ্লাস্কে করে জল এনে দেন। সেই গরম জল খেয়ে মুখ পুড়ে যায় ডি কে ত্রিপাঠীর। এতেই ক্ষুব্ধ অফিসার অধস্তন কনস্টেবলের মুখে ও সোয়েটারে গরম জল ছুড়ে দেন। তাতে আহত হন অমল। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার কথা কাউকে জানাতে পারেননি অমল। সিনিয়ররা তাঁর মোবাইল কেড়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই গোটা ঘটনায় তদন্ত করছেন সিআরপিএফ এর তদন্তকারী অফিসাররা। সম্ভবত শুক্রবারের মধ্যেই এই তদন্তের রিপোর্ট জমা পড়বে।