নয়াদিল্লি: দুপুরবেলায় কাজের বিরতিতে মধ্যাহ্নভোজন সারছিলেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। এমন সময়ে চারদিক থেকে ধেয়ে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি, গ্রেনেড।


হামলার পর একদিন কেটে গেলেও যেন আতঙ্কের রেশ কাটেনি। মঙ্গলবার সিআরপিএফ-এর এক আধিকারিক জানান, সুকমা জেলার বুরকাপাল ও চিতাগুফা সংযোগকারী প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের সময় নিরাপত্তা প্রদান করাই দায়িত্ব ছিল সিআরপিএফ-এর ওপর। এর জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল প্রায় ১০০ জন বা এক কোম্পানি জওয়ান।


এঁদের মধ্যে ৩৬ জনের একটি দল কাজের ফাঁকে বসে মধ্যাহ্নভোজন সারছিলেন। এমন সময়ে প্রায় শ’তিনেক মাওবাদী জওয়ানদের চারদিক থেকে ঘিরে অতর্কিত হামলা চালায়। খাবারের সময় হওয়ায় হামলায় একেবারে অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন জওয়ানরা। মাওবাদীদের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র ছিল, যার ফলে জওয়ানদের বাঁচার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে পড়ে।


বাহিনীর ওই আধিকারিক জানান, জওয়ানদের কাছে থাকা বিপুল পরিমাণ আধুনিক অস্ত্র লুঠ করে নিয়ে যায় মাওবাদীরা। এর মধ্যে রয়েছে—১৩টি একে সিরিজের রাইফেল, ৫টি ইনসাস রাইফেল, ৩,৪২০ রাউন্ড গুলি, ৭৫টি একে ম্যাগাজিন, ৩১টি ইনসাস ম্যাগাজিন, ৬৭ ইউবিজিএল রাউন্ড, ২২টি বুলেট-প্রুফ জ্যাকেট, ২টি বাইনোক্যুলার, ৫টি ওয়্যারলেস সেট এবং একটি ডিপ সার্চ মেটাল ডিটেক্টর।


ওই আধিকারিক জানান, প্রথমে মাওবাদীরা লঞ্চার দিয়ে মুহূর্মুহূ গ্রেনেড ছুড়ে জওয়ানদের বিভ্রান্ত করে দেয়। তারপর, লুকিয়ে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে ঝাঁঝরা করে দেয়। বাহিনীর অনুমান, ওই গ্রেনেড তারা এই সুকমাতেই গত ১১ মার্চের হামলা থেকে লুঠ করেছিল। সেই হামলায় ১২ জন জওয়ান নিহত হয়েছিলেন।