নয়াদিল্লি: জঙ্গল যুদ্ধে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোবরা কম্যান্ডো বাহিনীতে মহিলা জওয়ানদের যুক্ত করতে পারে সিআরপিএফ। সিআরপি ডিজি আনন্দ প্রকাশ মাহেশ্বরী সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, কোবরা বাহিনীতে মহিলাদের নেওয়া নিয়ে তাঁরা গুরুত্ব দিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন। কোবরা ফোর্স মূলত কাজ করে মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে, কয়েক কোম্পানি আবার উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে মোতায়েন রয়েছে, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন দমনে কাজ করছে তারা।

কোবরার পুরো নাম কম্যান্ডো ব্যাটেলিয়ন ফর রেজলিউট অ্যাকশন। ১০টি কোবরা ইউনিটে জওয়ান সংখ্যা ১২,০০০-এর বেশি। ২০০৯ সালে সিআরপিএফ বন জঙ্গলে ইনটেলিজেন্স বেসড অপারেশনের জন্য এই বাহিনী তৈরি করে। এই বাহিনীতে মহিলাদের যোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলে তা যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে, কারণ কোবরা বাহিনীতে যে জওয়ানরা কাজ করেন, তাঁদের সকলকে অত্যন্ত কঠোর মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষায় পাশ করতে হয়।

সিআরপি প্রধান মাহেশ্বরী বলেছেন, তাঁদের ভিআইপি নিরাপত্তা শাখার দায়িত্ব ক্রমশ বাড়ছে। তাই তাঁদের কম্যান্ডোদের শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা সেরাদের সারিতে নিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় যে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি এজেন্সি স্পেশাল প্রটেকশন গ্রুপ বা SPG যুক্ত রয়েছে, তাদের কম্যান্ডোদের অসামান্য দক্ষতাই এ ক্ষেত্রে তাঁদের মাপকাঠি। সিআরপি এই মুহূর্তে ৬২ জন ভিআইপির নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী, তাঁর দুই ছেলে মেয়ে রাহুল গাঁধী এবং প্রিয়ঙ্কা গাঁধী ভঢরা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের নিরাপত্তাও রয়েছে সিআরপির দায়িত্বে।

১৯৮৬ সাল থেকে সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সে মহিলা কর্মীরা মুখোমুখি সংঘর্ষের কাজে যুক্ত রয়েছেন। সে সময়ে তৈরি হয় এদের প্রথম মহিলা ব্যাটেলিয়ন। এখনও পর্যন্ত এদের ৬টি এমন ইউনিট রয়েছে। সিআরপিএফের কর্মী সংখ্যা ৩.২৫ লাখের মত। এটি দেশের সব থেকে বড় আধা সেনা বাহিনী, দেশের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজে সিআরপি জওয়ানরা যুক্ত রয়েছেন।