খবরে প্রকাশ, সোমবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে শ্রীনগর শহরের করণ নগর এলাকায় অবস্থিত বাহিনীর আইজি-র দফতরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন কর্মসূচি ছিল। সেখানে নিজের হাতে পতাকা উত্তোলন করেন কম্যান্ডান্ট প্রমোদ কুমার। এরপর উপস্থিত জওয়ানদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।
জানা গিয়েছে, দেশের অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্য জওয়ানদের সর্বস্ব উজাড় করে দেওয়ার কথা নিজের বক্তৃতায় জানিয়েছিলেন শহিদ কম্যান্ডান্ট। তিনি বলেছিলেন, শুধুমাত্র সন্ত্রাস নয়, কাশ্মীরিদের থেকে পাথর-হামলারও মোকাবিলা করতে হচ্ছে আমাদের (বাহিনীকে)। আমার অনুরোধ, আপনারা সকলে নিজ নিজ দায়িত্ব সততার সঙ্গে পালন করুন। যাতে এই দেশের অখণ্ডতা, সংহতি এবং স্বাধীনতা বজায় থাকে। পাশাপাশি, সিআরপি-র ডিজি-র বার্তাও পাঠ করে শোনান শহিদ প্রমোদ।
বাহিনী সূত্রে খবর, ঠিক সেই সময়ই তিন কিলোমিটার দূরে পুরনো শহরের নৌহাট্টা অঞ্চলে জঙ্গি-হামলার খবর তাঁর কাছে আসে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন কম্যান্ডান্ট। প্রায় এক ঘণ্টা পর, তাঁর মৃত্যু হয়।
বাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, কম্যান্ডান্ট প্রমোদ কুমার দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, মৃত্যুবরণ করার আগে অন্তত ২ জন জঙ্গিকে নিকেশ করেন প্রমোদ। গোটা অভিযান চার-ঘণ্টা ধরে চলে। প্রমোদের ঘাড়ে গুলি লেগেছিল। তাঁকে শ্রীনগরের সামরিক বেস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই প্রমোদ কোমাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন। দুপুরে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
প্রমোদ ছাড়াও আরও ৮ সিআরপিএফ জওয়ান আহত হন ওই অভিযানে। এছাড়া জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এক অফিসারের মাথায় গুলি লাগে। তাঁর অবস্থাও সঙ্কটজনক।
মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের জামতারায় পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শহিদ প্রমোদ কুমারের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।