নয়াদিল্লি: অরবিন্দ কেজরীবালের বাসভবনে কয়েকজন আপ বিধায়ক নিগ্রহ মুখ্যসচিব অংশু প্রকাশকে নিগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ করলেন এক সরকারি অফিসার। বিজ্ঞাপন রিলিজ না করার ব্যাপারে আলোচনার জন্য গতকাল রাতে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বাসভবনে ডেকেছিলেন মুখ্যসচিবকে। সেখানে তাঁর ও উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ শিসোদিয়ার সামনেই তাঁকে কয়েকজন আপ বিধায়ক নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। নাম প্রকাশে নারাজ ওই সরকারি অফিসার বলেন, আলোচনার মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। দু-তিনজন আপ বিধায়ক তাঁকে নিগ্রহ করেন, মুখ্যসচিবের চশমা ভেঙে যায়।
মুখ্যসচিব রাতেই লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বাইজলের সঙ্গে দেখা করে তাঁকে ঘটনাটি জানান। আইএএস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন আজ বাইজলের সঙ্গে দেখা করে প্রতিবাদ জানায়। সূত্রের খবর, আমলারা মানুষের অসুেধার কথা মাথায় রেখে ধর্মঘটের পথে যাননি।


যদিও আপের দাবি, মুখ্যসচিবকে রেশন নিয়ে কথা বলতে ডাকা হয়েছিল। তাঁকে মারধরের অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন, অস্বাভাবিক বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর কার্য্যালয়ের এক পদস্থ কর্তা। নিগ্রহের অভিযোগের পাল্টা আপের বক্তব্য, ভুল ভাবে আধার চালু করার ফলে রাজধানীর প্রায় আড়াই লক্ষ পরিবার রেশন পাচ্ছে না, মানুষের ক্ষোভ, রোষ সামলাতে হচ্ছে দলীয় বিধায়কদের। আলোচনা হচ্ছিল ওই পরিবারগুলিকে নিয়ে। টিভি বিজ্ঞাপন নিয়ে কথা হচ্ছিল বলে ভুল খবর প্রচার করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে তারা।
এক বিবৃতিতে আপ বলেছে, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বিধায়কদের বৈঠক হচ্ছিল। মুখ্যসচিব প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার করে বলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী, বিধায়কদের কাছে নয়, জবাব দিতে দায়বদ্ধ লেফটেন্যান্ট গভর্নরের কাছে। এমনকী উনি কয়েকজন বিধায়ককে গালিগালাজ করেন, কোনও প্রশ্নের জবাব না দিয়েই বেরিয়ে যান। এখন উনি এমন হাস্যকর অভিযোগ করছেন। অবশ্যই বিজেপির নির্দেশেই তিনি এটা করছেন। বিজেপি এতটাই নীচে নেমেছে যে, লেফটেন্যান্ট গভর্নর ও তাঁর দপ্তরের মাধ্যমে দিল্লি সরকারের কাজে বাধা দিচ্ছে। মুখ্যসচিব যেখানে এমন অবিশ্বাস্য অভিযোগ তুলতে পারেন, সেখানে বিজেপি যে তার লোকজনকে দিয়ে আপ সরকারের সামনে কী বিরাট সমস্যা তৈরি করতে পারে, তা সহজেই কল্পনা করা যায়।
প্রসঙ্গত, দিল্লির আপ সরকারের সঙ্গে আমলা কূলের বিরোধ চলছে বরাবর।২০১৫-র ডিসেম্বরে দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন দুজন বিশেষ স্বরাষ্ট্র সচিবকে সাসপেন্ড করলে আমলারা গণছুটি নিয়েছিলেন প্রতিবাদে।