শ্রীনগর: উপত্যকার ১০টি জেলায় এখনও চলছে কারফিউ। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কট্টরপন্থীদের সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা ৩৮ ছুঁয়েছে, আহত ৩০০০-এর বেশি। পুলিশ জানিয়েছে, উপত্যকায় শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থে কারফিউ জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। শুক্রবারও ইদের নামাজের পর কাশ্মীর জুড়ে নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর পাথরবৃষ্টি চলেছে আর পাথর ছোঁড়ার পাশাপাশি পিছন থেকে চলেছে গ্রেনেড ছোঁড়া। শনিবার অশান্তি ছড়ানো রুখতে গোটা উপত্যকা মুড়ে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। মোবাইল সংযোগ এদিনও স্তব্ধ রাখা হয়েছে।


পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে, জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর জেরে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হুরিয়ত কনফারেন্স ও জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের টানা হরতাল। ২০১০-এর গ্রীষ্মে কাশ্মীরে যখন নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর পাথর ছোঁড়ার ঘটনা চূড়ান্ত রূপ নেয়, তখনও এভাবে হরতাল ডেকেছিল এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। অশান্তি জিইয়ে রাখতে সোমবার সন্ধে পর্যন্ত এই হরতাল বজায় রাখার কথা ঘোষণা করেছে তারা।

এর মধ্যে পুঞ্চের নিয়ন্ত্রণরেখায় ৩ জঙ্গিকে গুলি করে মেরেছে সেনা। সেনা জানিয়েছে, এই তিন জঙ্গিই পাকিস্তানি, সম্ভবত এরা লস্কর ই তৈবার সদস্য। শুক্রবার বিকেলে সাবজিয়ান সেক্টরের আকবর ধোক এলাকা দিয়ে সেনা ৫ জঙ্গির অনুপ্রবেশের খবর পায়। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি অভিযান চালানোর পর শনিবার ভোরে ৩ জঙ্গিকে গুলি করে মারে তারা। সেনা সূত্রে খবর, জামাত উদ দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদ পাক দখলীকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি ঘাঁটিগুলোয় গিয়ে জঙ্গিদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছে। জম্মুতে অশান্তি ছড়িয়ে দিতে এ দেশে জঙ্গি ঢুকিয়ে দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। সুযোগ বুঝে ভারতে ঢোকার জন্য নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে অন্তত ২০০ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি ওত পেতে রয়েছে।