নয়াদিল্লি: দেশের অর্থনীতিতে নগদহীন লেনদেন বৃদ্ধি ও তুলনায় কম নগদ-নির্ভর করার দাবি পূরণ হওয়ার কোনও লক্ষ্মণ তো নেইই, বরং বাজারে নগদের পরিমাণ নজিরবিহীন স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের মানুষের হাতে নগদের পরিমান ১৮.৫ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। যেখানে ২০১৬-র ৮ নভেম্বর নোট বাতিলের সময় এই নগদের পরিমাণ ছিল ৭.৮ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাত্, নোট বাতিলের সময় পর্বের তুলনায় এখন বাজারে নগদের পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হিসেব অনুযায়ী, এখন দেশের অর্থনীতিতে ১৯.৩ লক্ষ কোটি টাকার নগদ ঘোরাফেরা করছে। নোট বাতিলের সময় এর পরিমাণ ছিল ৮.৯ লক্ষ কোটি টাকা। নোটবন্দীর আগে বাজারে নগদের পরিমাণ জিডিপি-র তুলনায় অনেকটাই কম ছিল। বাজারে বেশি নগদ থাকার অর্থ, লোকজন ব্যাঙ্ক থেকে বেশি পরিমাণ টাকা তুলছেন।
যদিও নরেন্দ্র মোদী সরকার দাবি করেছিল যে, নোট বাতিলের অন্যতম উদ্দেশ্য হল দেশে নগদহীন লেনদেনকে উত্সাহিত করা।
কিছুদিন আগেই খবর পাওয়া গিয়েছিল যে, দেশের বেশ কিছু এটিএম মেশিনে টাকা তোলা যাচ্ছে না। তখন বলা হয়েছিল, নগদ হাতে রাখার প্রবণতার কারণেই এটিএম মেশিনে টাকা না থাকার সমস্যা।
২০১৬-র ৮ নভেম্বর ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়। বাতিল নোট ব্যাঙ্ক থেকে বদলের জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল। তখন দাবি করা হয়েছিল যে, বাজারে যে কালো টাকা রয়েছে, সেগুলি আর ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় ফিরবে না। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গত বছরের আগস্টে জানিয়েছিল, বাতিল নোটের ৯৯ শতাংশই ফিরে এসেছে। শীর্ষ ব্যাঙ্কের হিসেব অনুযায়ী, ১৫.৪৪ লক্ষ কোটি টাকার বাতিল নোটের মধ্যে ১৫.২৮ লক্ষ কোটি টাকাই ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় ফিরে এসেছে।