নয়াদিল্লি: ফের কংগ্রেসে রাহুল গাঁধীর পদোন্নতি নিয়ে জোরাল দাবি উঠল।


সোমবার থেকে বৈঠকে বসেছে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক সংস্থা কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। এদিন সেখানে রীতিমতো প্রস্তাব পেশ করে রাহুলকে দলের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।


কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী অসুস্থ। তাই তিনি এবারের বৈঠকে অংশগ্রহণ করেননি। ফলে, প্রথমবার সিডব্লুসি বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী।


সেখানে কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার জন্য রাহুলকে অনুরোধ করে একটি প্রস্তাব পেশ করেন এ কে অ্যান্টনি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেল প্রস্তাব সমর্থন করেন!


আরও পড়ুন:

এআইসিসি-র বৈঠকে নেই অসুস্থ সনিয়া, অন্ধকার সময় চলছে, তোপ রাহুলের

এদিন বৈঠকের পর অ্যান্টনি বলেন, ওয়ার্কিং কমিটির মনে হয়েছে, রাহুলের উচিত এখন দলের রাশ তুলে নেওয়া। কারণ, এখনই সেরা সময় যখন মোদীর ‘স্বৈরাচার শাসন’-এর অবসান ঘটাতে ঐকবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।


কংগ্রেসের একটা বড় অংশ মনে করে, রাহুল যেভাবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে দলকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করছেন, তার সুফল একদিন মিলবেই!


দলের মতে, মোদী সরকারের নানা কাজে যখন দেশজুড়ে বিতর্ক তুঙ্গে, তখন এক পদ, এক পেনশনবা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর মতো ইস্যুকে হাতিয়ার করে রাহুল যথেষ্ট আক্রমণাত্মকভাবে নিজেকে তুলে ধরতে পেরেছেন!


আরও পড়ুন:



মোদী মিথ্যা বলছেন, প্রাক্তন সেনাকর্মীরা এক পদ, এক পেনশন পাচ্ছেন না! দাবি রাহুলের


এদিন বৈঠকে মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন রাহুল। বলেন, দেশের গণতন্ত্র এক অন্ধকার অধ্যায়ের মধ্যে দিয়ে চলছে। মোদী সরকার এতটাই ক্ষমতায় বিভোর যে, যারা তাদের বিরোধিতা করছে, তাদেরই মুখ বন্ধ করা হচ্ছে।


যদিও দলেরই আরেক অংশের মতে, মোদী বিরোধী মুখ হিসাবে নিজেকে তুলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করলেও, রাহুলের ভোট রাজনীতির ট্র্যাক রেকর্ড কিন্তু মোটেও ভাল নয়। ২০১৩ সালে জানুয়ারিতে জয়পুরে কংগ্রেসের অধিবেশনে ৪৬ বছর বসয়ী রাহুলকে সহ-সভাপতি করা হয়!


তারপর থেকে নানা সময় রাহুলকে সর্বোচ্চ পদে বসানোর দাবি উঠেছে! কিন্তু, সহ সভাপতি হওয়ার পর রাহুলের নির্বাচনী সাফল্য নেই বললেই চলে! কর্ণাটক ছাড়া কোনও বড় রাজ্যই এই মুহূর্তে কংগ্রেসের হাতে নেই!


এই প্রেক্ষাপটে রাহুলকে সভাপতি করলেই দলের ভাগ্য ঘুরে যাবে, এমনটা মানতে নারাজ অনেকেই! উল্টে তাঁদের বাজি রাজীব-তনয়া প্রিয়ঙ্কা গাঁধী ভঢরা। অনেকেই চাইছেন, প্রিয়ঙ্কা সক্রিয় রাজনীতিতে আসুন! প্রসঙ্গত, এর আগেও বহুবার এই দাবি দলের অন্দরে উঠেছে।


তবে, কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব এভাবে প্রকাশ্যে রাহুলের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেও, আপাত বছর খানেক সনিয়াই সভানেত্রী থাকছেন বলে সূত্রের খবর!