চেন্নাই: এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম বাঙালি, আঁখি। সেই আঁখির চোখরাঙানিতেই থরহরি কাঁপছে তামিলনাড়ু, কেরালা, লাক্ষাদ্বীপ। তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী ও তিরুনেলভেলির অবস্থা সবথেকে খারাপ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামীকে ফোন করে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।


মুখ্যমন্ত্রীর অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড়ের ফলে রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি কতটা হয়েছে জানতে চেয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ৭টি জেলায় ত্রাণকার্য চলছে, তবে সব থেকে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কন্যাকুমারী ও তিরুনেলভেলি। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ক্ষতি সামলে ওঠার জন্য শিগগিরই কেন্দ্রের কাছ থেকে অর্থসাহায্য চাইবে তারা।

ঝড়ে সমুদ্রে আটকে পড়া ১২টি মাছধরা নৌকায় চড়ে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন তামিলনাড়ু ও কেরলের বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী। তাঁদের মধ্যে ২১৮ জন বাড়ি ফিরেছেন, ১০২ জনের এখনও খোঁজ নেই।

ঝড়ে তছনছ লাক্ষাদ্বীপও। চলছে প্রচণ্ড বৃষ্টি। বহু বাড়ি ধসে পড়েছে, নারকেল গাছ উপড়ে গিয়েছে মাটি থেকে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঝড়ের প্রকোপ আরও তীব্র হবে।