গুয়াহাটি: ৫৮ বছর পর আবার দেখা।

দেখা গেল, এক বৃদ্ধ ভোলেননি অপর বৃদ্ধকে। যদিও ১৯৫৯-এর সেই বিখ্যাত পলায়নের একজন ছিলেন কুশীলব, অন্যজন ঘটনার পার্শ্বচরিত্র মাত্র।

কিন্তু এক ঝলক দেখেই দলাই লামা বুকে জড়িয়ে ধরলেন নরেনচন্দ্র দাসকে। ৫৮ বছর আগে অসম রাইফেলসে যিনি হাবিলদার ছিলেন।

চিনের তিব্বত আগ্রাসনের পর ভারতে পালিয়ে আসেন তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামা। তখন তিনি যুবক। বরফে ঢাকা হিমালয় পেরিয়ে পা রাখেন অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে। প্রথম ৭দিন তাঁর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ছিলেন এই নরেন্দ্রচন্দ্র দাস। অসমের নমামি ব্রহ্মপুত্র উৎসবে আবার তাঁদের দু’জনের দেখা হয়ে গেল।

পুরনো দেহরক্ষীকে জড়িয়ে ধরে দলাই বললেন, আপনার মুখের বলিরেখা জানান দিচ্ছে, আমিও অনেক বুড়ো হয়ে গিয়েছি। নরেন্দ্রবাবুরও তখন চোখে জল।

১৯৫৯-এ নরেন্দ্রবাবু অরুণাচলের সীমান্ত এলাকায় প্রহরারত ছিলেন। তখন খবর আসে, চিনা হামলার জেরে তিব্বত ছেড়ে ভারত পালিয়ে আসছেন দলাই লামা, তাঁকে যেন নিরাপদে এ দেশে নিয়ে আসা হয়। যে কোম্পানি বৌদ্ধ ধর্মগুরুকে ভারতে প্রবেশ করায়, তাদের ৬ সদস্যের দলে নরেন্দ্রচন্দ্রও ছিলেন। তখন তাঁর বয়স ২২ বছরের মত। সেই ৬ জনের দলে শুধু নরেন্দ্রবাবুই এখনও বেঁচে। বাকিরা হয় মারা গিয়েছেন, নয়তো তাঁদের খবর কেউ জানে না।