জবাবে বিজেপি সভাপতি আজ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, রাহুল গাঁধী যাবতীয় সীমা লঙ্ঘন করেছেন। আমাদের জওয়ানদের রক্ত নিয়ে ব্যাবসা করা যায় কি? ‘দালালি’ মন্তব্যে তিনি আসলে অপমান করেছেন আমাদের জওয়ানদেরই। রাহুল গাঁধীকে শুধু প্রশ্ন করতে চাই, ‘দালালি’ শব্দটা কি ভারতীয় সেনাবাহিনী, দেশরক্ষায় তাঁদের ত্যাগের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত? গোটা দেশ, ভারত সরকার, বিজেপি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সমর্থন করে। আমরা সেনার বুলেটে ভরসা রাখি, রাজনৈতিক নেতাদের বিবৃতিতে নয়।
মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে গতকাল রাহুল বলেন, সেনাবাহিনী নিজের কাজ করেছে। আপনি আপনার কাজ করুন। ওঁদের নিয়ে দালালি করছেন। এটা খুব অন্যায়।
বিজেপি সভাপতি এর জবাবে বলেন, দলের সহ সভাপতির মুখের কথা থেকেই কংগ্রেসের মানসিকতা ফুটে বেরচ্ছে। সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা শুধু সেনাবাহিনীই নয়, শহিদ জওয়ানদেরও অপমান করছেন।
কংগ্রেস জমানায় হওয়া একাধিক কেলেঙ্কারির অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, টুজি, কয়লা কেলেঙ্কারি, কমনওয়েলথ গেমস কেলেঙ্কারির সঙ্গে দালালির যোগ ছিল না, কিন্তু দেশের মান বাঁচানো সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের বেলায় ‘খুন কি দালালি’ হয়ে গেল!
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালেরও কড়া নিন্দা করেন অমিত শাহ। কটাক্ষের সুরে বলেন, কেজরীবালজি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে মন্তব্য করতেই পাকিস্তানে ট্রেন্ডিং হয়ে গেলেন!
পাকিস্তানের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের অস্বীকার করা নিয়েও এ দেশের বিরোধীদের কটাক্ষ করেন বিজেপি সভাপতি। বলেন, পাকিস্তানে এ নিয়ে যে চিত্কার, চেঁচামেচি হচ্ছে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক প্রমাণের পক্ষে সেটাই যথেষ্ট, এখানকার সংশয়ী রাজনৈতিক দলগুলি অবশ্য গবেষণা করে দেখতে পারে।