ভিলওয়ারা (রাজস্থান): ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন দলিত সম্প্রদায়ের এক যুবক। আচমকাই তাঁদের পথ আটকে দাঁড়ায় উচ্চবর্ণের লোকেরা। তাঁকে ঘোড়া থেকে নামিয়ে হেনস্থা করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের ভিলওয়ারা জেলায়।


বুধবার ভিলওয়ারা জেলার কারেরা এলাকায় বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। ঘোড়ার চড়ে রওনা দিয়েছিলেন দলিত সম্প্রদায়ের এক যুবক। কিন্তু কনের বাড়িতে পৌঁছনোর আগেই মাঝরাস্তায় চরম হেনস্থার শিকার হতে হয় তাঁদের।


দলিত সম্প্রদায়ের হয়েও কেন ঘোড়ায় চড়েছেন ওই যুবক, সেই কৈফিয়ত দাবি করে তাঁর পথ আটকে দাড়ান উচ্চবর্ণের লোকজন। সঙ্গে শোভাযাত্রা করে যাওয়া বরপক্ষের আত্মীয়পরিজনদের বেধড়ক পেটানো হয়।


ঘটনার খবর পৌঁছয় পুলিশের কাছেও। করেরা পুলিশ স্টেশন ইন চার্জ জগদীশ প্রসাদ বলেছেন ’’আমরা খবর পেয়েছিলাম দলিত সম্প্রদায়ের এক যুবককে ঘোড়া থেকে নামিয়ে হেনস্থা করা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে তাঁর বাড়ির লোকজনকেও। আমরা মামলা রুজু করেছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।‘‘


ভিলওয়ারের করেরা জেলাই শুধু নয়, এধরনের জাতিগত হামলার ঘটনা প্রায়শই ঘটে রাজস্থানের নানান অঞ্চলে। গত অক্টোবরেই আলওয়ারে এক দলিত যুবকের গায়ে আগুন দিয়ে তাঁকে পুড়িয়ে মারা হয়।


একটি মদের দোকানে সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতেন কমল কিশোর নামের ওই যুবক। তাঁর পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া ছিল। সেই টাকা চাওয়া মাত্রই তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।পরে তাঁর পুড়ে যাওয়া দেহ ওই মদের দোকানের ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হয়।


খৈয়ারথাল পুলিশ স্টেশনে তাঁর দাদা এফআইআর করেছিলেন। সেখানে অভিযোগ করেছিলেন, ওই মদের দোকানের কনট্রাক্টর সুভাষ ও রাকেশ যাদবের কাছে বকেয়া বেতন চাওয়ার ফলেই তাঁকে খুন করা হয়েছিল।