নয়াদিল্লি: সেক্স ভিডিও ফাঁস বিতর্কে হার্দিক পটেলের পাশে দাঁড়ালেন দলিত নেতা জিগনেশ মেবানি।
নিজের ফেসবুক পেজে একটি খোলা চিঠি লিখে বুধবার তা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন জিগনেশ। চিঠিতে তিনি বলেন, এই টেপ বলে দিচ্ছে, রাজনীতি ও রাজনীতিবিদেরা কতটা নিচে নামতে পারেন। একজন ২৪ বছর বয়সী নেতার কণ্ঠরোধ করতে গোটা প্রশাসন চেষ্টা চালাচ্ছে।
জিগনেশের মতে, নির্বাচনের সময় বিজেপির ২০১২ সালের ইস্তেহার এবং তারা কতটা পালন করতে পেরেছে তা ইস্যু হওয়া উচিত। সেটা না হয়ে সেক্স ভিডিওকে ইস্যু করা হচ্ছে। তিনি যোগ করেন, এটা গুজরাত ও দেশের পক্ষে লজ্জার। ৬ কোটি গুজরাতির বোঝা উচিত, যে পুলিশ, সিনিয়র আইপিএস অফিসার ও গোয়েন্দা দফতর ‘সাহেব’-এর জন্য একজন মহিলার বিরুদ্ধে চরবৃত্তি করতে পারে, তারা যে কোনও ব্যক্তির বেডরুমেও ঢুকতে পারে।
প্রসঙ্গত, সোমবার ও মঙ্গলবার পাতিদার অনামত আন্দোলন সমিতির নেতা হার্দিক পটেলের দুটি ভিডিও প্রকাশ পায়। প্রথম ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি হোটেলের ঘরে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির সঙ্গে রয়েছেন হার্দিকের মতো এক ব্যক্তি। দ্বিতীয় ভিডিওতে দেখা যায়, হার্দিক সদৃশ এক ব্যক্তি বিছানায় দুজন অন্য পুরুষ এবং এক মহিলার সঙ্গে রয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে, সোমবারই হার্দিকের সমর্থনে দাঁড়ান জিগনেশ। টুইটারে তিনি লেখেন—প্রিয় হার্দিক পটেল, চিন্তা করো না। আমি তোমার সঙ্গে রয়েছি। আর যৌনতার অধিকার মৌলিক অধিকার। কারও ক্ষমতা নেই তোমার গোপনীয়তায় অনুপ্রবেশ করার।