কোচি: কেরলের পেরুমবাভুরের নিজের বাড়িতেই বছর ৩০-এর এক দলিত মহিলাকে ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় দুজনকে হেফজাতে নিল পুলিশ। তবে তাদের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে কিছু জানানো হয়নি।  মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চাণ্ডি বলেছেন, এই নৃশংস ঘটনা তাঁকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে।


প্রসঙ্গত গত ২৮ এপ্রিল বছর ৩০-এর এক দলিত আইনের ছাত্রীকে নিজের বাড়িতেই ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। গোপনাঙ্গেও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। দুষ্কৃতীদের নৃশংসতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, মহিলার ক্ষুদ্রান্ত্র মৃতদেহের পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনার সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না তাঁর মা ও দিদি। দিনের শেষে তাঁর মা বাড়ি ফিরে দেখেন, রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেয়ের শরীর। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও গোপনাঙ্গে বহু আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।

এই ঘটনায় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিরোধী দল সিপিএম। বিধানসভা  ভোটের আগে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছে কেরলের রাজ্য রাজনীতি। ছাত্র ও মানবাধিকার সংগঠনও সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায়। দলমত নির্বিশেষে একাধিক মহিলা সংগঠন এই নারকীয় অপরাধের প্রতিবাদে শামিল হয়েছে।

কেরলের তফশিলি জাতি ও উপজাতি কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছে। ২৮ মে-র মধ্যে পুলিশকে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তফশিলি কমিশন। রাজ্য মানবাধিকার কমিশন আবার তদন্তভার অপরাধ দমন শাখার হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।