সাগর (মধ্যপ্রদেশ): দলিত মহিলার স্বামীকে মারধরের অভিযোগ উচ্চবর্ণ সম্প্রদায়ের বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের সাগর জেলার রেনভঝা গ্রামের ঘটনা।
সুরখি থানার পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার স্বামীকে তাদের বাড়ি গিয়ে কোনও কাজ করে দিতে বলেছিলেন নরেন্দ্র সিংহ, তাঁর বাবা সাহাব সিংহ। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় তাঁকে মারধর করেন দুজনে।

এমনকী মহিলা যখন জখম স্বামীকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন, সেসময় ওই দুজন তাঁর ওপর হামলা করে তাঁর নাক কেটে দেয় বলে দাবি করেছেন তিনি। পুলিশও জানিয়েছে, তিনি নাকে আঘাত পেয়েছেন। মেডিকেল রিপোর্টের অপেক্ষা করছে পুলিশ।

মেয়েদের অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ গ্রহণের জন্য গতকাল ক্যাম্প খুলেছিল মধ্যপ্রদেশ মহিলা কমিশন। সেখানে গিয়েই কমিশনের চেয়ারপার্সন লতা ওয়াংখেড়ের কাছে নিজের ও স্বামীর ওপর উচ্চবর্ণভুক্ত পরিবারের বাপ-ছেলের আক্রমণের কথা জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন দলিত মহিলা।

সাংবাদিকদের ওয়াংখেড়ে জানান, উঁচু জাতের পরিবারটি দলিত মহিলা, তাঁর স্বামীকে দাস শ্রমিক বানাতে চেয়েছিল। রাজি না হওয়ায় মহিলার নাক কেটে দেয় তারা। পলাতক অভিযুক্ত বাবা, ছেলেকে গ্রেফতার করে এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩ (ইচ্ছা করে হামলা)ধারা ও তফসিলি জাতি ও উপজাতি ওপর দমনপীড়ন রোধ আইনে মামলা দায়ের করেছে।
দলিত মহিলা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ডাক্তারের রিপোর্টে নাকে বড়সড় আঘাতের উল্লেখ থাকলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ধারা প্রয়োগ করা হবে।