আমদাবাদ: গির-সোমনাথ জেলার পর এবার আনন্দ জেলা। ফের গুজরাতে ফের নিগ্রহের শিকার দলিতরা। শ্মশানের কাছে মৃত গরুর চামড়া ছাড়ানোর জন্য উচ্চবর্ণের লোকজনের হাতে প্রহৃত হলেন এক দলিত তরুণ। রেহাই পেলেন না তাঁর মা। উচ্চবর্ণের ১৫ জনের একটি দল দুজনকেই বাড়িতে চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।
উল্লেখ্য, প্রায় বছর খানেক আগে গির-সোমনাথ জেলার উনায় কয়েকজন দলিতকে গোরক্ষকদের মারধরের ঘটনায় সারা দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল।এবার আনন্দ জেলায় দলিতদের মারধরের ঘটনা ঘটল।
সোজরিতা তালুকের কাসোর গ্রামের এই ঘটনায় গতকাল থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। এফআইআর অনুসারে, মৃত গবাদি পশুর চামড়া ছাড়ানোর নিয়মভাঙার অভিযোগ তুলে ২২ বছরের ওই দলিত তরুণ ও তাঁর ৪৫ বছরের মাকে গত শনিবার রাতে মারধর করে রাজপুত জাতভুক্ত ১৫ জনের একটি দল। অভিযুক্তরা কাসোরের বাসিন্দা। প্রথমে তারা ওই দলিত তরুণের বাড়িতে এসে গালিগালাজ শুরু করে। জাত উল্লেখ করেও গালিগালিজ করা হয় বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করলে ওই তরুণ ও তাঁর মাকে মারধর করে উচ্চবর্ণের ওই লোকজন।
খাম্বাট ডিভিশনের ডেপুটি পুলিশ সুপার ডিডি ডামোর বলেছেন, গত ১১ আগস্ট ঘটনার সূত্রপাত। ওই দিন অন্য একটি গ্রাম থেকে মৃত গরু এনে চামড়া ছাড়ানো কাজ করছিলেন ওই তরুণ। নির্দিষ্ট জায়গার পরিবর্তে শ্মশানের সামনে তিনি চামড়া ছাড়ানোর কাজ শুরু করেন। স্থানীয় লোকজন এর প্রতিবাদ করে সরপঞ্জের কাছে যায়। এরপর সরপঞ্চ এসে ওই তরুণকে নির্দিষ্ট জায়গা দেখিয়ে দেন। সেই নির্দেশ মেনে নির্দিষট স্থানে চলে যান ওই তরুণ। ওই সময়ই তাঁর সঙ্গে কথাকাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েছিল অভিযুক্তদের একজন।
এর পরের দিন ১২ আগস্ট মারধরের ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় এখনও কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি। প্রহৃতদের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।