কোনও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে একটি আখের ক্ষেতের মধ্যে এক কিশোরীকে ঘিরে রয়েছে দুষ্কৃতীদের দল। মেয়েটি একাধিকবার কাকুতি মিনতি করছে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্যে। তারপর তারওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে দুষ্কৃতী দলের এক যুবক। এই ভিডিও এখন চলছে বাজারে, জানাচ্ছে কাশগঞ্জের অপর এক দোকানদার। প্রসঙ্গত, বিক্রেতাদের দাবি মানুষ এখন বাস্তব জিনিষ দেখতে বেশি ভালবাসে, তুলনায় শ্যুট করা কোনও পর্ন ভিডিওর চেয়ে।
প্রকাশ্যেই উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় এই ব্যবসা চলছে। তবে বিক্রেতারা শুধুমাত্র সেইসমস্ত ক্রেতাদেরই ধর্ষণের ভিডিও বিক্রি করে, যারা তাদের কাছে কোনও বিশ্বস্ত ব্যক্তির মাধ্যমে আসে।
এই ভিডিও বিক্রি করে যেসমস্ত ডিলাররা, তারা সরাসরি খদ্দেরের স্মার্টফোনে এধরনের ভিডিও ডাউনলোড করে দেয় বা পেন ড্রাইভের মাধ্যমে এগুলো দিয়ে দেয়।
আজকাল অনেক সময়ই শোনা যায় ধর্ষণের সময় দুষ্কৃতীরা ভিডিও তুলে রাখছে সেই ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের। তারপর সেটাই টুইটার, ফেসবুকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা চোখের নিমেষে ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, তাজগঞ্জ এবং সদর এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে বহু দোকান থেকে এধরনের ভিডিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। কিন্তু এই ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ করা কার্যত অসম্ভব, দাবি পুলিশের।